 
              প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০২৩, ০৮:২৯ পিএম
 
                 
                            
              জার্মানির উত্তরাঞ্চলে ডেনিশ সীমান্তের কাছে শ্লেসউইগ-হলস্টেইন রাজ্যে ট্রেনে ছুরিকাঘাতে দুইজন নিহত ও সাতজন আহত হয়েছেন। বুধবার (২৫ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় বিকেল ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ট্রেনটি হামবুর্গ থেকে কিয়েল যাচ্ছিল বলে জানা গেছে। 
এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আহতদের মধ্যে তিনজন গুরুতর আহত এবং চারজন সামান্য আহত হয়েছেন। এর আগে জার্মানির বিল্ড পত্রিকা জানিয়েছিল, হামলায় পাঁচজন আহত হয়েছেন এবং পুলিশ ইতোমধ্যে সন্দেহভাজন হামলাকারীকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ জানায়, ট্রেনটি হামবুর্গের উত্তরে ব্রোক্সটেডের ছোট্ট গ্রামের কাছে আসার সঙ্গে সঙ্গে আততায়ী তার সহযাত্রীদের ছুরিকাঘাত শুরু করে। এক পর্যায়ে পালাতে গিয়ে কয়েকজন যাত্রীর হাতে ধরা পড়ে সে। পরে জরুরি সেবার নম্বরে ফোন করে ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়।
জরুরি পরিষেবা থেকে ফোন পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। সন্দেহভাজন হামলাকারীকে পরে যাত্রীরা পুলিশ হেফাজতে নিয়ে যায়। তা ছাড়া ট্রেনের ৭০ জন যাত্রীর জবানবন্দি নেয়া হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে সন্দেহভাজন ব্যক্তি আগের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার সঙ্গে জড়িত বা পুলিশের নজরদারিতে থাকার কোনো রেকর্ড খুঁজে পায়নি। তবে তার মধ্যে মানসিক ভারসাম্যহীনতা লক্ষ্য করা গেছে।
ডেনমার্কের সীমান্ত রাজ্য শ্লেসউইগ-হলস্টেইনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাবিন সোটারলিন-ওয়াক খবর পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে ছুটে যান। বুধবার সন্ধ্যায় তিনি সাংবাদিকদের জানান, গ্রেফতারকৃত সন্দেহভাজন ফিলিস্তিনের একজন শরণার্থী। সন্দেহভাজন হামলাকারীকে ব্রকস্টেড গ্রামের একটি রেলস্টেশন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 
পুলিশ প্রশাসন জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃত ৩৩ বছর বয়সী সন্দেহভাজন ব্যক্তির শরীরে সামান্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আটকের পর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে, জার্মানির ফেডারেল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফিউসার ঘটনার নিন্দা করেছেন এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। 
বুধবার এক টুইট বার্তায় তিনি লেখেন, ‘আমরা এই ভয়ানক অপরাধের শিকার এবং তাদের পরিবার নিয়ে উদ্বিগ্ন। খবরটা শোনার সঙ্গে সঙ্গে আমি আঞ্চলিক সহকর্মী সাউটারলিন-ওয়াককে সাহায্য করতে বলেছিলাম। ঘটনাটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। আমি পুলিশ ও জরুরি পরিষেবাগুলোকে তাদের আন্তরিক সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানাই।’
এনএমএম/এএল
 
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
      