• ঢাকা রবিবার
    ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

ইউরোপের শব্দদূষণের তালিকায় নেই আয়ারল্যান্ড

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৩, ০৭:৩৪ পিএম

ইউরোপের শব্দদূষণের তালিকায় নেই আয়ারল্যান্ড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

গাড়ির হর্ন নিয়ন্ত্রণের জন্য কঠোর কোনো আইন নেই আয়ারল্যান্ডে। তারপরও শুধু শব্দদূষণ ও মানুষের ক্ষতির কথা বিবেচনায় হর্ন ব্যবহার থেকে বিরত থাকেন দেশটির চালকরা। এ জন্যই আয়ারল্যান্ড কোনো স্থানীয় বা আন্তর্জাতিক খেলায় জয়ী হলে, বিয়ে, সামনের চালক কোনো ভুল করলে অথবা কোনো বিপদের সম্ভাবনা থাকলে শুধু হর্ন ব্যবহার করে চালকরা। দিনের বেলায় হর্ন বাজানো নিষেধ নয়, তারপরও শব্দদূষণ থেকে রক্ষা পেতে হর্ন বাজানো থেকে বিরত থাকেন চালকেরা।
শুধু ব্রিজের ওপর দিয়ে গাড়ি চালানোর সময় বা কম দৃশ্যমানসহ বিপজ্জনক বাঁকের চারপাশে ঘুরতে হর্ন বাজানোর পরামর্শ দেন দেশটির ট্রাফিক বিভাগ। তবে ট্রাফিক ইমারজেন্সি না থাকলে রাত ১১টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত সময়ে হর্ন বাজানো পুরোপুরি নিষিদ্ধ।
এক প্রবাসী বাংলাদেশি বলেন, ছুটির দিনে এখানে প্রচুর জ্যাম হয়। তবুও চালকরা রাস্তার যেখানে-সেখানে হর্ন বাজায় না। সে কারণে এখানে শব্দদূষণ নেই বললেই চলে। আইনের প্রয়োগ সবাই মেনে চলতে বাধ্য। আমরা প্রবাসী বাংলাদেশিরা, যারা গাড়ি চালাই তারা আইন মেনে, নিয়ম মেনে চলার চেষ্টা করি।
আরেক প্রবাসী বলেন, আমরা এ দেশে একেবারেই রাস্তাঘাটে হর্ন বাজাতে দেখি না। এর প্রধান কারণ অন্যকে বিরক্ত না করা, বিনা কারণে শব্দদূষণ না করা। এ দেশে বিনা কারণে হর্ন দেয়া এক ধরনের অভদ্রতা।
এদিকে শব্দদূষণ রোধে গাড়ির ইঞ্জিন থেকে সৃষ্ট শব্দ কমাতে ন্যাশনাল কার টেস্টকে বাড়তি ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। কোনো গাড়ি থেকে নির্ধারিত ডেসিমেলের বেশি শব্দ হলে সে গাড়ি ফিটনেস সার্টিফিকেট হারাবে।


উচ্চমাত্রায় হর্ন বাজিয়ে নয়, স্বাভাবিক মাত্রায় হর্ন ব্যবহার করে পরিবেশ ও মানুষের ক্ষতি রক্ষায় একটু সচেতনতাই যথেষ্ট। যান্ত্রিক এই জীবনে যন্ত্রের ব্যবহার হোক একটু দায়িত্ববোধ নিয়ে, একটু সচেতন হয়ে আর একটু মানবিক হয়ে।

 

 

এনএমএম/
 

আন্তর্জাতিক সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ