• ঢাকা সোমবার
    ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

মালি থেকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের প্রত্যাহারের দাবি

প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২৩, ০৮:০৫ পিএম

মালি থেকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের প্রত্যাহারের দাবি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালি থেকে দ্রুত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে দেশটির সামরিক সরকার। যদিও চলতি মাসে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস দেশটিতে শান্তিরক্ষা মিশনের মেয়াদ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন। খবর রয়টার্সের।

বিশ্বজুড়ে বিবাদপূর্ণ এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে আসছে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী। বিশেষ করে আফ্রিকার বিভিন্ন সংঘাতকবলিত দেশগুলোতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের অধীনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে বিভিন্ন দেশের সেনাবাহিনী। তবে হঠাৎ করেই শান্তিরক্ষীদের প্রত্যাহারের দাবি তুলেছে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালি।

শুক্রবার (১৬ জুন) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে, মালি থেকে দ্রুত শান্তিরক্ষীদের সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানান দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লায়ে দিওপ। তিনি বলেন, শান্তি প্রতিষ্ঠায় শান্তিরক্ষা মিশন চালু করা হলেও দীর্ঘ দশ বছরে তা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে জাতিসংঘ। আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় সহিংসতার পরিমাণ বেড়েছে বলেও দাবি তার। শান্তিরক্ষীদের সরিয়ে নিতে মালির বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।


মালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে, মালিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের কারণে বিবদমান গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। এ ছাড়া মালির সরকার এবং শান্তিরক্ষীদের মধ্যে আস্থার সংকট তৈরি করছে। এসব কারণে, মালি সরকার জাতিসংঘকে দ্রুত সেনা প্রত্যাহাররে দাবি জানাচ্ছে।

এদিকে জাতিসংঘের মালি মিশনের প্রধান এল গাসামি জানিয়েছেন, কোনো দেশের সম্মতি ছাড়া সে দেশে শান্তিরক্ষা মিশন পরিচালনা প্রায় অসম্ভব। চলতি মাসে শেষ হতে চলেছে মালিতে জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনের কার্যক্রমের মেয়াদ। এর আগে দেশটিতে এখনো পূর্ণ শান্তি প্রতিষ্ঠা না হওয়ায় এ মিশনের সময় বাড়ানোর পরামর্শ দেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

মালিতে এ পর্যন্ত শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্বরত অবস্থায় তিনশ‍‍`র বেশি শান্তিরক্ষী প্রাণ হারিয়েছেন। এতে বিশ্বের সবচেয়ে ঝূঁকিপূর্ণ শান্তিরক্ষা মিশনে পরিণত হয়েছে দেশটিতে। বর্তমানে মালিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বিভিন্ন দেশের প্রায় ১৫ হাজার শান্তিরক্ষী নিয়োজিত আছেন। এদের মধ্যে প্রায় দেড় হাজার বাংলাদেশি রয়েছেন।


এডিএস/

আন্তর্জাতিক সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ