 
              প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০২৩, ০৯:০৪ পিএম
---2023-06-23T150422271-20230623090427.jpg) 
                 ছবি: সংগৃহীত
ইউক্রেন যুদ্ধে মৃত্যু হয়েছে ৪৭৭ শিশুর। শেষ এক বছরে শুধুমাত্র রাশিয়ার আক্রমণে ইউক্রেনের ১৩৬ শিশু নিহত হয়েছে। জাতিসংঘের এই রিপোর্টের কথা প্রকাশ করেছে জার্মান সংবাদসংস্থা ডিপিএ। রিপোর্টটি তৈরি হয়ে গেলেও এখনও প্রকাশিত হয়নি।
অন্যদিকে, এক বছরে ইউক্রেনের আক্রমণে রাশিয়ার ৮০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এই তথ্যও ওই রিপোর্টে তুলে ধরা হয়েছে। অধিকাংশ ঘটনাই ঘটেছে দূরপাল্লার রকেট এবং বিমান হামলায়।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, সামগ্রিভাবে যুদ্ধে এখনও পর্যন্ত ৪৭৭ শিশু নিহত হয়েছে। আহতের সংখ্যা এর কয়েক গুণ। আহত শিশুদের অনেকেই এখনও হাসপাতালে ভর্তি। তারা মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে। ফলে মৃত শিশুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ভয়াবহ এই তথ্য নিয়ে ইতোমধ্যেই মানবাধিকার সংস্থাগুলো সরব হয়েছে। কেন এত শিশুর মৃত্যু হবে, এ নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অনেকে। কিন্তু ইউক্রেন এবং রাশিয়া কোনোপক্ষই এই বিষয়টি নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি।
এদিকে বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের মিসাইল রাশিয়া অধিকৃত খেরসন এবং ক্রিমিয়ার মধ্যবর্তী একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু ধ্বংস করেছে বলে জানা গেছে। রাশিয়া নিয়োজিত দুই অঞ্চলের প্রশাসনই এই খবরের সত্যতা স্বীকার করেছে।
বস্তুত, খেরসনের রাশিয়া নিযুক্ত গভর্নর জানিয়েছেন, সেতুটি বন্ধ করে রাখা হয়েছে। গাড়ির চলাচল ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা সেতুটি মেরামতের কাজ শুরু করেছেন।
রাশিয়ার দাবি, হামলায় স্টর্ম শ্যাডো মিসাইল ব্যবহার করেছে ইউক্রেন। পরপর তিনটি মিসাইল গিয়ে আঘাত করে ওই সেতুতে। তবে ওই ঘটনায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানানো হয়েছে।
খেরসন ইউক্রেনের অংশ। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই অঞ্চলে তীব্র লড়াই হয়েছে। শেষপর্যন্ত রাশিয়ার সেনা এই অঞ্চল দখল করে। ইউক্রেনের সেনা ওই অঞ্চলে ফের পুনরুদ্ধার অভিযান শুরু করেছে।
অন্যদিকে ২০১৪ সালে রাশিয়া ইউক্রেনে অভিযান চালিয়ে বেআইনিভাবে ক্রিমিয়া দখল করেছিল। চোগার ব্রিজ খেরসনের সঙ্গে ক্রিমিয়ার অন্যতম যোগসূত্র। সে কারণেই ওই ব্রিজটিকে ধ্বংস করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
জেকেএস/
 
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
      