 
              প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০২৩, ০৩:১৩ পিএম
 
                 ছবি: সংগ্রহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বুধবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলোচনার জন্য ইসরায়েল সফর করবেন। আলোচনায় তিনি ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারের বিষয়টি স্পষ্ট করে দিবেন বলে মঙ্গলবার ঘোষণা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। খবর রয়টার্স ও সিএনএনের।
এদিকে গাজা পরিস্থিতির সমাধান করা ছাড়া এখানো কোনো রকমের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে ইসরায়েলকে অনুমতি দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান। বাইডেনের সফরের বিষয়ে অগ্রীম পদক্ষেপ নেওয়ার ঘটনায় এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
ইসরায়েলের যুদ্ধ মন্ত্রিসভার সঙ্গে সাত ঘণ্টার বেশি দীর্ঘ বৈঠক শেষে ব্লিঙ্কেন সাংবাদিকদের কাছে এই সফরের ঘোষণা দেন। এই আলোচনা চলাকালীন সাইরেন বন্ধ হয়ে গেলে তিনি পাঁচ মিনিটের জন্য একটি বাঙ্কারে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
ইসরায়েলে ব্লিঙ্কেনের সফর মধ্যপ্রাচ্যের সাতটি দেশে সফরের অংশ। কারণ হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ এই অঞ্চলের আশেপাশের দেশে ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ইসরায়েলে সফরকালে বাইডেন তাদের কাছ থেকে শুনবেন যে কীভাবে তারা বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা কমিয়ে আনবে এবং গাজার বেসামরিক লোকদেরকে এমন উপায়ে মানবিক সহায়তা করতে হবে যেন হামাস এর সুবিধা নিতে না পারে।
তিনি আরও বলেছেন, দাতা দেশ এবং বহুপাক্ষিক সংস্থাগুলো থেকে গাজার বেসামরিকদের কাছে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর জন্য একটি যৌথ পরিকল্পনা সাজিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় টিভিকে বলেছেন, ‘প্রতিরোধের নেতারা ইহুদিবাদী শাসককে গাজায় কোনো পদক্ষেপ নিতে দেবেন না। সব বিকল্প খোলা আছে এবং গাজার জনগণের বিরুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের ব্যাপারে আমরা উদাসীন হতে পারি না।’
বিস্তারিত উল্লেখ না করে তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিরোধ ফ্রন্ট শত্রুর (ইসরায়েল) সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধ চালাতে সক্ষম। আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আমরা প্রতিরোধ ফ্রন্টের থেকে অগ্রিম পদক্ষেপের আশা করতে পারি।’
গাজা কর্তৃপক্ষ বলেছে, চলমান যুদ্ধে ২ হাজার ৮০০ জনের বেশি বাসিন্দা নিহত হয়েছে। নিহতদের প্রায় এক চতুর্থাংশ শিশু। আহত হয়েছে আরও ১০ হাজার, হাসপাতালে পর্যাপ্ত সরবরাহ নেই।
গত সপ্তাহে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেছিলেন, ইসরায়েলের ওপর হামাসের হামলার সঙ্গে জড়িত নয় তেহরান। তবে তিনি হামলাকে ইসরায়েলের ‘অপূরণীয়’ সামরিক ও গোয়েন্দা পরাজয় বলে অভিহিত এবং প্রশংসা করেছেন।
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি সোমবার বলেছেন, তেহরান ফিলিস্তিনিদের সমর্থন করলেও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ফ্রন্ট তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সাজেদ/
 
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
      