 
              প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩১, ২০২৩, ১১:৫৩ এএম
 
                 
                            
              জাতিসংঘের ত্রাণবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর প্রধান জুলিয়েট তৌমা জানিয়েছেন, গাজার অনেক বাস্তুচ্যুত নাগরিকই এখন খোলা আকাশের নিচে, পার্কে দিন কাটাচ্ছেন।
শনিবার টেলিভিশনের সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন তৌমা।
এদিকে জাতিসংঘের মানবিক কার্যালয়ের (ওসিএইচএ) তথ্য অনুসারে, সাম্প্রতিক সময়ে মিশরের সীমান্তবর্তী গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা শহরে কমপক্ষে এক লাখ মানুষ পালিয়ে গেছেন।
ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, জাতিসংঘকে সীমিত সহায়তা সরবরাহ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। জুলিয়েট তৌমা বলেন, গাজায় দিন দিন মানবিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তা আরও বাড়ছে।
তিনি বলেন, গাজা উপত্যকায় যেসব এলাকায় আমাদের প্রবেশ করা উচিত, সেখানে প্রবেশের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তবে ইসরাইলের দাবি, তারা মানবিক সহায়তা প্রবেশের ক্ষেত্রে কোনো সীমাবদ্ধতা আরোপ করেনি। বরং এটি সংস্থাটির বিতরণের সমস্যা।
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। সেই সময় ইসরাইলে ১২০০ জন নিহত হন এবং আরও ২৪০ জনকে জিম্মি হিসেবে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরাইল।
দুই মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছেন ইসরাইলি সৈন্যরা। বাড়িঘর, স্থাপনা, আবাসিক এলাকা— এমনকি হাসপাতাল, মসজিদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা বিভিন্ন দাতব্য সংস্থাও হামলা থেকে বাদ পড়ছে না। গাজার কোনো জায়গাই এখন আর ফিলিস্তিনিদের জন্য নিরাপদ নয়।
হামাসনিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় গাজায় ২১ হাজার ৬৭২ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৫৬ হাজার ১৬৫ জন।
[67561[
সংঘাত শুরুর পর থেকেই ৪১ কিলোমিটার (২৫ মাইল) দীর্ঘ এবং ১০ কিলোমিটার প্রশস্ত এই উপত্যকায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের ক্ষেত্রে কঠোরভাবে সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
গাজায় সামরিক অভিযানের শুরুতে উত্তরাঞ্চলের দিকে বেশি মনোযোগ দিয়েছিল ইসরাইল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিসকে হামাসের শক্তিশালী ঘাঁটি দাবি করে সেখানে হামলা বাড়ানো হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, সব দিক দিয়েই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল।
 
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
      