
প্রকাশিত: মে ১৩, ২০২৫, ০৯:৪৯ পিএম
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, ‘অতি শীঘ্রই’ গাজা উপত্যকায় পূর্ণ শক্তি নিয়ে সামরিক অভিযান চালানো হবে। সোমবার রাতে দেশটির আহত রিজার্ভ সেনাদের সঙ্গে এক বৈঠকে নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমরা অপারেশন সম্পূর্ণ (শেষ) করতে যাচ্ছি। এর অর্থ হলো হামাসকে পরাজিত করা, ধ্বংস করা।’ এএফপি
প্রধানমন্ত্রীর অফিস মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়। নেতানিয়াহু আরও বলেন, এ যুদ্ধ থেমে যাবে—এমন কোনো পরিস্থিতি হবে না। অস্থায়ীভাবে যুদ্ধবিরতি হতে পারে, কিন্তু আমরা শেষ পর্যন্ত যাব।
গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় আবারও বড় পরিসরে সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরাইল। গত জানুয়ারির ১৯ তারিখে হওয়া যুদ্ধবিরতির পর থেকে যে স্থবিরতা সৃষ্টি হয়েছিল, তার সমাধানে কোনও অগ্রগতি না হওয়ায় এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
চলতি মাসের শুরুতে ইসরাইলি মন্ত্রিসভা গাজা অভিযানে সম্প্রসারণের পরিকল্পনা অনুমোদন করে। সেখানে দীর্ঘমেয়াদি সামরিক উপস্থিতিরও ইঙ্গিত দেওয়া হয়। ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, আসন্ন অভিযানটির অংশ হিসেবে গাজার ‘অধিকাংশ’ বাসিন্দাকে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
২০২৩ সালের অক্টোবরে শুরু হওয়ার পর এ যুদ্ধে গাজার প্রায় ২৪ লাখ বাসিন্দার সবাই অন্তত একবার বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।তবে ইসরাইল গাজাবাসীদের ওই অঞ্চল চিরতরে ছাড়তে চাপ দিচ্ছে।
ইসরাইলের এক জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই অভিযানের লক্ষ্যগুলোর মধ্যে ‘স্বেচ্ছা স্থানান্তর কর্মসূচি’ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত এই ধারণাকে কেন্দ্র করেই ইসরাইলি মন্ত্রীরা চাইছেন, গাজাবাসীরা স্বেচ্ছায় প্রতিবেশী দেশ যেমন জর্ডান বা মিশরে চলে যাক।
তবে মিশর ও জর্ডানসহ অন্যান্য আরব দেশ, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও ফিলিস্তিনিরা এই প্রস্তাব স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
আহত সেনাদের সঙ্গে বৈঠকে নেতানিয়াহু বলেন, গাজার ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় দিতে রাজি এমন দেশ খুঁজতে ইসরাইল কাজ করছে।