• ঢাকা শনিবার
    ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২২ ভাদ্র ১৪৩২

ইউক্রেন যুদ্ধে ভারতের অর্থায়ন নিয়ে হতাশ ট্রাম্প: মার্কিন উপদেষ্টা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৫, ০৯:৫৫ এএম

ইউক্রেন যুদ্ধে ভারতের অর্থায়ন নিয়ে হতাশ ট্রাম্প: মার্কিন উপদেষ্টা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

হোয়াইট হাউসের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কেভিন হ্যাসেট বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার বাণিজ্য দল ভারতের রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি নিয়ে ‍‍`হতাশ‍‍`। তিনি শিগগিরই ইতিবাচক অগ্রগতির আশা প্রকাশ করেছেন।

এক সংবাল সম্মেলনে বার্তা সংস্থা এএনআই-এর প্রশ্নের জবাবে হ্যাসেট বলেন, ‍‍`আমার মনে হয় বাণিজ্য দল এবং প্রেসিডেন্ট হতাশ যে ভারত এখনও রাশিয়ার ইউক্রেন যুদ্ধকে অর্থায়ন করছে... আশা করি এটি একটি গণতান্ত্রিক বিষয় এবং আমরা ইতিবাচক অগ্রগতি দেখতে পাব।‍‍`

ভারত, রাশিয়া এবং চীন নিয়ে ট্রাম্পের পোস্ট নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‍‍`আমরা অবশ্যই চাই এটি উন্নত হোক।‍‍`

এর আগে ট্রাম্প তার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, ‍‍`মনে হচ্ছে আমরা ভারত ও রাশিয়াকে গভীরতম, অন্ধকারতম চীনের হাতে হারিয়েছি। তাদের জন্য একটি দীর্ঘ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ কামনা করি!‍‍`

যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, ভারত রাশিয়ান তেল থেকে মুনাফা করছে। অন্যদিকে ভারতীয় কর্মকর্তাদের ভাষ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন যখন রাশিয়ান গ্যাস কিনছে তখন কেন শুধুমাত্র ভারতকে আলাদা করে দোষারোপ করা হচ্ছে। চীন রাশিয়ান তেলের সবচেয়ে বড় আমদানিকারক।

যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত ৫০ শতাংশ শুল্ক আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে। এর আগে ট্রাম্প প্রশাসন ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল এবং রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার কারণে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শাস্তিমূলক শুল্ক চাপানো হয়।

এই সিদ্ধান্তের পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ‍‍`ভারতকে লক্ষ্যবস্তু করা অন্যায্য ও অযৌক্তিক‍‍` এবং যেকোনো বড় অর্থনীতির মতো ভারতও তার জাতীয় স্বার্থ ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গত মাসের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে রাশিয়ার ৬৭.৫ বিলিয়ন ইউরোর পণ্য বাণিজ্য হয়েছিল।

এছাড়া, ২০২৩ সালে তাদের ১৭.২ বিলিয়ন ইউরোর সেবা বাণিজ্য ছিল, যা ওই বছর বা পরবর্তীতে ভারতের মোট রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যের তুলনায় অনেক বেশি।

২০২৪ সালে ইউরোপের এলএনজি আমদানি ১৬.৫ মিলিয়ন টনে পৌঁছায়, যা ২০২২ সালের রেকর্ড ১৫.২১ মিলিয়ন টনকেও ছাড়িয়ে যায়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইউরোপ-রাশিয়া বাণিজ্যের মধ্যে শুধু জ্বালানি নয়, সার, খনিজজাত পণ্য, রাসায়নিক, লোহা-ইস্পাত, যন্ত্রপাতি ও পরিবহন সামগ্রীও অন্তর্ভুক্ত।

তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

আর্কাইভ