প্রকাশিত: অক্টোবর ২৫, ২০২৫, ০৬:১৪ পিএম
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বহুল আলোচিত আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দিতে ৫ দিনের সফরের প্রথম পর্বে মালয়েশিয়ায় নামতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই সফর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের জন্য বড় একটি কূটনৈতিক অর্জন হিসেবে দেখা হচ্ছে, কারণ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের দেশটিতে সফর বিরল ঘটনা।
৩ কোটি ৫০ লাখ জনসংখ্যার বহুজাতিক রাষ্ট্র মালয়েশিয়া দীর্ঘদিন ধরে পরাশক্তিগুলোর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখেছে। এর আগেও মাত্র দুইজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট — বারাক ওবামা ও লিন্ডন বি. জনসন — দেশটি সফর করেছিলেন। রোববার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত চলা আসিয়ান সম্মেলনের আয়োজক মালয়েশিয়ায় এবারই তৃতীয়বারের মতো পা রাখছেন কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
২০১৮, ২০১৯ ও ২০২০ সালের আসিয়ান সম্মেলনে অংশ না নেয়ার পর ট্রাম্প এবার দ্বিতীয়বারের মতো এই আঞ্চলিক বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন। বহুপাক্ষিক কূটনীতির প্রতি তার অনীহা সুপরিচিত হলেও, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই সমাবেশে তার উপস্থিতি গুরুত্ব বহন করছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের এই সফর প্রতিফলিত করছে মালয়েশিয়ার সূক্ষ্ম কূটনৈতিক ভারসাম্য— যেখানে আনোয়ার ইব্রাহিমের সরকার যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাঝেও সম্পর্কের ভারসাম্য রক্ষা করে চলেছে। মালয়েশিয়া একইসঙ্গে দুই দেশের অর্থনীতির সঙ্গে গভীরভাবে সম্পৃক্ত।
উল্লেখ্য, এবারের সফরের পরের পর্বগুলোতে তার জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ারও কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যম।