• ঢাকা রবিবার
    ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

অল্প বয়সে বিয়ে করলে কি হয় জানেন?

প্রকাশিত: মার্চ ৬, ২০২৩, ০৩:১৬ এএম

অল্প বয়সে বিয়ে করলে কি হয় জানেন?

ছবি: সংগৃহীত

লাইফস্টাইল ডেস্ক

অল্প বয়সে বিয়ে করলে কি হয়: আজ আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব কম বয়সে বিয়ে করলে যেসব সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে। বিবাহের সঠিক সময় নিয়ে অনেকের অনেক মতবিরোধ আছে। অনেকের মতে বিয়ে এবং সম্পর্ক আসল অর্থ বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। বিয়ের সাথে অর্থনীতির বিষয়টি জড়তিয়ে থাকে। তাই অনেকে আর্ভাথিকবে স্বাবলম্বী না হলে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয় না।

কিন্তু সত্যি বলতে কি? দ্রুত বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। কম বয়স থাকতে থাকতেই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেওয়া ভালো। কারন এতে জীবন অনেকটা বেশি সহজ মনে হবে। বিভিন্ন ধরনের সমস্যা বা চিন্তা থেকে সহজে মুক্ত থাকতে পারবেন। সেটা কিভাবে জানতে হলে লেখাটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন-

১) আপনি যদি ৩০ বছর পর বিয়ে করেন। তাহলে তখন আপনার বয়সের সাথে সাথে আপনার মধ্যে গাম্ভীর্যভাব চলে আসবে। সেই কারনে আপনাদের সম্পর্ক খুব বেশি ঘনিষ্ঠ ও মধুর হবে না। তখন আপনার পরিস্থিতি এমন হবে যে বিয়ে করতে হবে তাই করছেন। আর তাই বিয়েটা আগেই করে ফেলা ভালো। যেই সময় আবেগ অনেক বেশি কাজ করে ।

২) বয়স বেশি হয়ে বিয়ে করলে স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে খুব একটা বেশি সময় দিতে পারে না। বছর ঘোরার সাথে সাথেই সন্তানের দায়িত্ব কাঁধে এসে পড়ে। আর সন্তান হয়ে যাওয়ার পর স্বামী-স্ত্রীর একান্ত সময় কাটানোর সুযোগ সেভাবে আর হয়ে ওঠে না। কিন্তু কম বয়সে যদি বিয়ে হয় তবে সঙ্গীর সঙ্গে অনেকটা সময় কাটানো যায়। সেক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক অনেক ভাল ও মধুর থাকে।

৩) একজন চেয়ে দুজনের আলোচনার বিষয়টি নিশ্চয় না বোঝার কথা নয়। একা একাই সুখ দুঃখ ভোগ করার চেয়ে দুজনে যদি সেটা ভাগাভাগি করে নেওয়া যায় তাহলে মানসিক চাপ অনেকটাই কমে যায়। যদি বিয়েটা অল্প বয়সে হয় তবে একে অপরের সুখ দুঃখ গুলো ভাগ করে নেওয়া যায়।

৪) যদি আগে বিয়ে করে ফেলেন তাহলে সন্তানের জন্য খুব ভালো বাবা-মার উদাহরণ হতে পারেন। এই বিষয়টি সত্যি, সেটা কেউ মানুক বা না মানুক। একটা জিনিস ভেবে দেখুন মানুষের গড় আয়ু কিছুটা কমে গেছে। তাই আপনি যদি দেরিতে বিয়ে করেন তাহলে সন্তান মানুষ করার সথিক সময়টাও আপনি পাবেন না। তাই আপনার মানসিক চাপও দিন দিন বাড়তে থাকবে।

৫) দুর্ঘটনা বসত অনেকেই বিয়ের সিদ্ধান্ত সঠিক সময় নিতে পারেন না। তাই এখন ডিভোর্সের সংখ্যা বাড়ছে। জলদি বিয়ে করাই কিন্তু এর থেকেও সুবিধা রয়েছে। যদি বিয়েটা অল্প বয়সে হয় এবং অল্পতেই ভেঙে যায়। তাহলে জীবনটা নতুন করে গুছিয়ে নেওয়ার আর একটা সুযোগ পাওয়া যায়। যা কিন্তু দেরিতে বিয়ে করলে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকেনা।
 

আর্কাইভ