প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৪, ২০২২, ০৯:২৬ পিএম
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান
কিউকমের গ্রাহকদের আটকে থাকা টাকা
ফেরত দেয়া শুরু হয়েছে।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) প্রথম
দিনে ২০ জন গ্রাহককে
৪০ লাখ টাকা ফেরত
দেয়া হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের
সভাকক্ষে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি
ঘোষ গ্রাহকদের কাছে এই টাকা
হস্তান্তর করেন।
এ
সময় তিনি বলেন, ‘কিউকমের
গ্রাহকদের আটকে থাকা টাকা ফেরত
দেয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের
মাধ্যমে যারা প্রতারিত হয়েছেন
তাদের টাকা ফেরত দেয়ার
প্রক্রিয়া শুরু হলো। তবে
যেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা আছে তাদের গ্রাহকদের
টাকা এখন ফেরত দেয়া
সম্ভব না। যাদের বিরুদ্ধে
শুধু অভিযোগ আছে, মামলা নেই;
তাদের গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেয়ার
ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
এর
আগে, রোববার (২৩ জানুয়ারি) বাণিজ্য
মন্ত্রণালয়ের এক নোটিশে বলা
হয়- ফস্টার পেমেন্ট গেটওয়ের কাছে কিউকম ডটকমের
গ্রাহকের আটকে থাকা টাকা
সোমবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর
করা হবে।
গত
জুনে ‘এসক্রো সিস্টেম’ চালু করেছে বাংলাদেশ
ব্যাংক। এই পদ্ধতিতে ক্রেতার
টাকা বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত পেমেন্ট গেটওয়ের কাছে জমা থাকে।
কিউকমের পেমেন্ট গেটওয়ে ছিল ফস্টার পেমেন্টস।
এই পদ্ধতিতে কিউকম ক্রেতার কাছে পণ্য পৌঁছে
দিয়ে চালানসহ ডকুমেন্ট ফস্টারে জমা দেয়ার কথা।
এ দিকে পণ্য বুঝে পাওয়ার
পর ক্রেতা কিউকমকে টাকা দেবেন। ক্রেতা
পণ্য বুঝে না পেলে
ফস্টার কর্তৃপক্ষ কিউকমের টাকা আটকে দেবে।
গত
১৬ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দেয়া এক চিঠিতে
ই–কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকম জানায়, ফস্টার পেমেন্টস তাদের গ্রাহকদের ৪২০ কোটি টাকা
আটকে রেখেছে। ফস্টার পেমেন্টস মূলত এসএসডি টেক
নামক একটি কোম্পানির পেমেন্ট
সার্ভিস উইং। বাংলাদেশের পাশাপাশি
মালয়েশিয়া, মিয়ানমার ও সিঙ্গাপুরেও তারা
রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা
সেবা দেয়।
২০১৯
সালে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান
কিউকম প্রতিষ্ঠিত হয়। বাজারমূল্যের চেয়ে
কম দামে পণ্য দেয়ার
কথা বলে গ্রাহকদের সঙ্গে
প্রতারণা করার অভিযোগ রয়েছে
প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। এরই মধ্যে ৩
অক্টোবর প্রতারণার অভিযোগে কিউকমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রিপন মিয়াকে
গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের
(ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ।
নূর/ডা