• ঢাকা শনিবার
    ০৪ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস আজ

প্রকাশিত: অক্টোবর ১০, ২০২২, ০৮:৩৩ পিএম

বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস আজ। করোনা পরিস্থিতিতে চাকরি হারিয়ে অনেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন। এর সঙ্গে প্রিয়জনের সংক্রমণ ও মৃত্যু এবং অস্বাভাবিক জীবনযাপনের প্রভাব পড়েছে মানসিক স্বাস্থ্যে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা মহামারি গেল আড়াই বছরে মানুষের মনে যে ক্ষত তৈরি করেছে, তার প্রভাবে আগামীতে মানসিক স্বাস্থ্যে নীরব মহামারি সৃষ্টি করবে। সম্প্রতি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া মানসিক সমস্যার ওপর চালানো এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, করোনা সংকটে মানুষের মধ্যে মানসিক সমস্যা অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসঅর্ডার (ওসিডি) বা শুচিবাই রোগ বেড়েছে। ফলে বেড়ে গেছে আত্মহত্যার প্রবণতাও।

এমন পরিস্থিতিতে দেশে আজ সোমবার পালিত হচ্ছে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য- ‍‍`সবার জন্য মানসিক স্বাস্থ্য ও সুস্থতাকে বিশ্বব্যাপী অগ্রাধিকার দিন‍‍` বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে দিনটি পালন করা হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতাল ও সামাজিক সংগঠন আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বিশ্বের ১০টি রোগের মধ্যে ওসিডির অবস্থান তৃতীয়। ওসিডি নানা রকম হতে পারে। একই কাজ বারবার করতে থাকা, অস্থিরতা, যে কোনো বিষয় নিয়ে প্রবল উদ্বেগ, ডিপ্রেশন এই রোগের অন্যতম উপসর্গ। ওসিডি মানুষকে এতটায় যন্ত্রণা দেয় যে, তিনি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন।

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের এক জরিপে বলা হয়েছে, করোনার প্রভাবে ওসিডি আক্রান্তদের ১৯ শতাংশের মধ্যে বেড়েছে আত্মহত্যার প্রবণতা। দেশে মানসিক সমস্যাগ্রস্তদের মধ্যে কী কী ধরনের সমস্যা রয়েছে, তা জানতেই জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক ও মনোবিদ অধ্যাপক মোহিত কামালের নেতৃত্বে এ জরিপ করা হয়।

জরিপে চলতি বছরে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত ৮৩৪ মানসিক রোগীর সাক্ষাৎকার নেয়া হয়। যাদের মধ্যে ১৫৩ জনের ওসিডি পাওয়া গেছে এবং তাদের বয়স ১৮ বছরের বেশি। করোনার প্রভাবে দেশে ১৮ শতাংশ মানসিক সমস্যায় জরিতদের নতুন করে ওসিডি ধরা পড়েছে, যাদের জন্মগতভাবে রোগটি ছিল না। ওসিডি ধরা পড়াদের মধ্যে ১৯ শতাংশ আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। ২০১৮ সালে এ সংক্রান্ত জাতীয় এক জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে মাত্র ১ দশমিক ৯ শতাংশের ওসিডি ছিল।

শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধির বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা প্রতিরোধে নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা ও কর্মসূচি দরকার। এসব বাস্তবায়নে বাজেট বরাদ্দসহ জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন জরুরি।

এএস/এএল

আর্কাইভ