• ঢাকা শনিবার
    ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

৫ কোটি হাতানোর পর ধরা হরিদাস

প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০২২, ০৯:৩৭ পিএম

৫ কোটি হাতানোর পর ধরা হরিদাস

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের প্রটোকল অফিসার বলে পরিচয় দিতেন। আর এর মাধ্যমেই বদলি বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি ও প্রতারণার মাধ্যমে ২০১৪ সাল থেকে শতাধিক মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে প্রায় ৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন হরিদাস চন্দ্র তরণীদাস ওরফে তাওহীদ নামের এক ব্যক্তি।

সোমবার (৭ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর বনানী এলাকায় অভিযান চালিয়ে এক সহযোগীসহ তাকে আটক করেছে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ও র‌্যাব। তার সহযোগীর নাম মো. ইমরান মেহেদী হাসান (৩৮)। 

তাদের কাছ থেকে ৪টি মোবাইল, জালিয়াতিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন কাগজপত্র এবং ফটোশপে সম্পাদনা করা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভুয়া ছবি জব্দ করা হয়।

মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান। 

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর ছবির সঙ্গে নিজের ছবি বসিয়ে ভুয়া ছবি তৈরি করেন হরিদাস চন্দ্র। ওই ছবি তার মোবাইলে, বাসায় ও অফিসে রাখতেন। তার রিসোর্টে বড় করে দেয়ালে টানিয়েও রেখেছিলেন সে ছবি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা কিংবা রাজনৈতিক দলে পদ-পদবিও ছিল না। ভুক্তভোগীদের আস্থা অর্জনের জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের প্রোটোকল অফিসার হিসেবে পরিচয় দিতেন। প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের দূরের আত্মীয় হিসেবেও পরিচয় দিতেন। কখনো কখনো পরিচয় দিয়েছেন মন্ত্রীর এপিএস হিসেবে। প্যারিস সুইমিং পুল এন্টারটেইনমেন্ট পার্কে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জুড়ে দেয়া তার ছবি বড় করে ঝুলিয়ে রেখেছিলেন। পার্কের পরিধি বাড়ানোর নামে ফুলবাড়িয়া এলাকার বিত্তশালীদের কাছ থেকেও টাকা নিয়েছেন। আসামি ২০১৪ সাল থেকে শতাধিক ভুক্তভোগীর কাছ থেকে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। 

দীর্ঘ আট বছর ধরে প্রতারণা করে আসছিলেন, বিগত বছরগুলোতে কেউ কি অভিযোগ করেছিল- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হরিদাস চন্দ্র ২০১৪ সাল থেকে বিভিন্নভাবে প্রতারণা করে আসছিলেন। কিন্তু কোনো অভিযোগ আসেনি। সম্প্রতি জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) তদন্তে বেশ কিছু তথ্য বেরিয়ে এসেছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিভিন্ন জায়গায় চাকরির জন্য তদবিরের নামে তিনি প্রতারণা করেছেন। বিভিন্ন জায়গায় চাকরির জন্য ডিও লেটার, ভুয়া সিল ব্যবহার করেছেন। পরে তা স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তাদের নজরে এসেছে। 

আরেক প্রশ্নের জবাবে খন্দকার আল মঈন বলেন, আসামির রিসোর্টের মূল্য ৪ কোটি টাকা। গোয়েন্দা সূত্রে আমরা তথ্য পেয়েছি, আসামির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। শতাধিক ব্যক্তির সঙ্গে বিভিন্নভাবে প্রতারণা করেছেন।

আইএ/এএল

জাতীয় সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ