 
              প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩, ০৬:৪২ পিএম
-20230206064239.jpg) 
                 সংগৃহীত
বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর চলমান আন্দোলনের বিপরীতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় ‘শান্তি সমাবেশ’ কর্মসূচি পালন করে আসছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এবার আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি বিএনপির নতুন কর্মসূচির দিনে সারা দেশে ‘শান্তি সমাবেশ’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্ষমতাসীন দল। এ উপলক্ষে দেশের ৪০ জেলায় যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের ৫৩ জন কেন্দ্রীয় নেতা।
গত রোববার আওয়ামী লীড়ের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের অভ্যন্তরীণ এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।
সভা সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি সারা দেশের প্রতিটি জেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে একযোগে ‘বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য ও সহিংসতার প্রতিবাদে’ শান্তি সমাবেশ করবে ক্ষমতাসীন দল।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জেলার নেতাদের সঙ্গে যোগ দেবেন কেন্দ্রীয় নেতারা। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের বিভিন্ন জেলায় গিয়ে সমাবেশে অংশ নেয়ার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের জেলা ভাগ করে দেয়া হয়েছে। দেশের ৪০টি জেলায় দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে ৫৩ জন কেন্দ্রীয় নেতাকে।
শান্তি সমাবেশ উপলক্ষে লালমনিরহাটের দায়িত্ব পেয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট সফুরা বেগম রুমি। রংপুর যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান, রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া।
জয়পুরহাটে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন।
বগুড়ায় আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা। নওগাঁয় কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শাখাওয়াত হোসেন শফিক।
রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বেগম আখতার জাহান।
সিরাজগঞ্জে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য প্রফেসর মেরিনা জাহান, পাবনায় কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, ঝিনাইদহে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পারভিন জামান কল্পনা, যশোরে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মাগুরায় কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্মল কুমার চ্যাটার্জী।
নড়াইলের আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মাশরাফি-বিন-মর্তুজা, বাগেরহাটে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আমিরুল ইসলাম মিলন, খুলনায় সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা।
বরগুনায় কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. সিদ্দিকুর রহমান, পটুয়াখালীতে সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, বরিশালে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আনিসুর রহমান।
পিরোজপুরে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য গোলাম কবির রব্বানী চিনু, টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক ও শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক বেগম শামসুন্নাহার, মানিকগঞ্জে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট তারানা হালিম, মুন্সীগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, গাজীপুরে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সিমিন হোসেন রিমি, নরসিংদীতে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম।
রাজবাড়ীতে বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, ফরিদপুর আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান।
গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত মুহাম্মদ ফারুক খান এবং উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আওয়াল শামীম।
মাদারীপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাহজাহান খান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ ও কেন্দ্রীয় কমিটির দুই সদস্য আনোয়ার হোসেন এবং শাহাবুদ্দিন ফরাজী।
শরীয়তপুরের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, জামালপুরে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, শেরপুরে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মারুফা আক্তার পপি, নেত্রকোনায় আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল ও কেন্দ্রীয় সদস্য উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং যাচ্ছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শান্তি সমাবেশে যোগ দিতে বলা হয়েছে আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরুকে। কুমিল্লা উত্তরে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুস সবুর, চাঁদপুরে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. দীপু মনি এবং তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ যাচ্ছেন।
লক্ষ্মীপুরে যাচ্ছেন কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী।
চট্টগ্রাম উত্তরে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, চট্টগ্রাম দক্ষিণে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম।
কক্সবাজারে ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, রাঙ্গামাটিতে কেন্দ্রীয় সদস্য দীপঙ্কর তালুকদার এবং বান্দরবানে অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এ ছাড়া যেসব জেলার নাম উল্লেখ করা হয়নি, সেগুলোতে স্থানীয় নেতা এবং স্থানীয় সংসদ সদস্যদের অংশগ্রহণে ইউনিয়ন পর্যায়ের শান্তি সমাবেশ আয়োজন করতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরিয়ানএস/
 
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
      