প্রকাশিত: জুলাই ৭, ২০২৩, ০১:৩৫ এএম
জনশৃঙ্খলা, পরিবেশ ও নৈতিকতা পরিপন্থি এবং জাতীয় প্রতীকের সমন্বয়ে গঠিত কোন শিল্প-নকশা মালিকানা স্বত্ব পাবে না, এমন বিধান রেখে জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ শিল্প-নকশা বিল-২০২৩’ উত্থাপন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে কণ্ঠভোটে বিলটি পাস হয়।
শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন সংসদে বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। বিরোধী দলীয় সদস্যরা বিলের ওপর জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব উত্থাপন করলেও তা কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। দ্যা পেটেন্ট অ্যান্ড ডিজাইন অ্যাক্ট-১৯১১ রহিত করে নতুন আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে গত ১ নভেম্বর সংসদে বিলটি তোলা হয়েছে। এর আগে বিলটি গত ২৫ জুলাই মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেওয়া হয়।
বিলে বলা হয়, আইনের অধীনে বিধি দিয়ে নির্ধারিত পদ্ধতিতে এবং ফি দেওয়া সাপেক্ষে শিল্প-নকশার নিবন্ধনের মেয়াদ হবে ৫ বছর। কারো যদি এক্সক্লুসিভ এক্সট্রা অর্ডিনারি কোন রকম কিছু থাকে, তাহলে তিনি দরখাস্ত দিলে আরও ৫ বছরের জন্য মেয়াদ বাড়ানো যাবে।
সংসদে পাস হওয়া বিলের বিধান অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে যদি শিল্প-নকশা নিবন্ধিত হয়, অন্য কেউ প্রতারণামূলকভাবে যদি তা ব্যবহার করে, তবে মালিক ক্ষতিপূরণ পাবেন। সিভিল আইন অনুযায়ী এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিদ্যমান আইনে ডিজাইন এবং ট্রেডমার্কস রেজিস্ট্রার অধিদপ্তর ছিল, নতুন আইনেও সেটা বহাল থাকছে। এই অধিদপ্তরের অধীনে একটি শিল্প ইউনিট থাকবে। এই আইনের অধীনে শিল্প-নকশা নিবন্ধন সংক্রান্ত সব কার্যক্রম সম্পন্ন হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিএস/