• ঢাকা মঙ্গলবার
    ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২

এনআইডি সার্ভারে কাজ চলছে, ঘণ্টাখানেকের মধ্যে চালু হবে: অশোক কুমার

প্রকাশিত: আগস্ট ১৬, ২০২৩, ০১:১৬ পিএম

এনআইডি সার্ভারে কাজ চলছে, ঘণ্টাখানেকের মধ্যে চালু হবে: অশোক কুমার

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাইবার হামলার ঝুঁকি পর্যালোচনা করতে একটি কারিগরি দল নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সার্ভারে কাজ করছে। এজন্য আপাতত সার্ভার বন্ধ আছে৷ ঘণ্টাখানেক সময়ের মধ্যে চালু করা হবে পুনরায়। এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন, নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

বুধবার (১৬ আগস্ট) সিটি নিউজ ঢাকাকে এ তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, ঝুঁকি পর্যালোচনা বলতে মানে কেউ চাইলেই হামলা করতে পারবে কিনা সেটা যাচাই করা হচ্ছে।

এর আগে সকালে এনআইডি সার্ভার বন্ধ রাখার কথা জানানো হয়। এতে বিঘ্নিত হচ্ছে দৈনন্দিন কার্যক্রম। যান্ত্রিক ত্রুটি নাকি হ্যাক হয়েছে তখন তা নিশ্চিত করা হয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নির্বাচন কমিশনের এক কর্মকর্তা ওই সময় জানিয়েছেন, সকাল থেকেই সার্ভারে ঢুকতে পারছেন না তারা। তবে হ্যাক হয়েছে এমন কোনো আলামত ওয়েবসাইটে নেই। সবদিক খতিয়ে দেখতে মহাপরিচালকের নির্দেশে টেকনিক্যাল টিম কাজ করছে। কিছুক্ষণের মধ্যে হয়তো জানা যাবে যান্ত্রিক ত্রুটি নাকি অন্যকিছু। তবে হ্যাক হবার আশঙ্কা কম।

তবে এনআইডির সিস্টেম ম্যানেজার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন জানান, রক্ষণাবেক্ষণের কারণে সার্ভার সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। ঘণ্টাখানিকের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে।

এদিকে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, সাইবার হামলার ঝুঁকি এসেসমেন্ট (পর্যালোচনা) করতে একটি কারিগরি দল এনআইডি সার্ভারে কাজ করছে। এজন্য আপাতত সার্ভার বন্ধ আছে৷ ঘণ্টাখানেক সময়ের মধ্যে চালু করা হবে পুনরায়।

দেশের প্রায় ১২ কোটি নাগরিকের ব্যক্তিগত বিভিন্ন তথ্য রয়েছে এনআইডি সার্ভারে। কিন্তু এখন পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই তথ্যভান্ডারের কোনো ডিজাস্টার রিকভারি সাইট (ডিআরএস) বা যথাযথ ব্যাকআপ (বিকল্প সংরক্ষণব্যবস্থা) নেই। ডিআরএস না থাকায় জাতীয় এই তথ্যভান্ডার অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

সম্প্রতি ইসির তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োগ কমিটির একটি বৈঠকেও বিষয়টি উঠে আসে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এনআইডির তথ্যভান্ডারে প্রায় ১২ কোটি ভোটারের কমবেশি ৩০ ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য আছে। ১৭১টি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইসির এই তথ্যভান্ডার থেকে প্রতিনিয়ত তথ্য যাচাই–সংক্রান্ত সেবা নিচ্ছে।

সম্প্রতি রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ের জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধনের ওয়েবসাইট থেকে সম্প্রতি লাখ লাখ মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়। এরপর দেশে ডিজিটাল তথ্য ব্যবস্থাপনায় নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়টি আলোচনায় আসে।

 

সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন

 

জেকেএস/

জাতীয় সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ