 
              প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৩, ০১:০২ এএম
 
                 
                            
              নিজস্ব চেকলিস্ট জালিয়াতি করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে কলকারখানার মহাপরিদর্শক, মামলার বাদীসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আর্জি জানিয়েছেন ড. ইউনূসের আইনজীবী। বুধবার শ্রম আদালতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গ্রামীণ টেলিকমের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন আর্জি জানান।
এদিকে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল আজ। মামলায় অন্য বিবাদীরা হলেন গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও শাহজাহান।
ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানার শ্রম আদালতে এ বিষয়ে শুনানির জন্য রয়েছে বলে নিশ্চিত করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন।
গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে প্রথম সাক্ষীর জেরা শুরু করেছেন ড. ইউনূসের আইনজীবী। এরপর এ মামলায় পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য আজ ১৩ সেপ্টেম্বর দিন ঠিক করেন আদালত। ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) এ আদেশ দেন।
আদালতে ওই দিন শুনানিতে ছিলেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের সিনিয়র আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান ও অ্যাডভোকেট সৈয়দ হায়দার আলী। ড. ইউনূসের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ।
শুনানিতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের নিজস্ব চেকলিস্ট জালিয়াতি করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি তুলে আদালতকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছেন ইউনূসের আইনজীবী।
কোর্টে তোলা অভিযোগে কলকারখানার মহাপরিদর্শক, মামলার বাদীসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আর্জি জানিয়েছেন ড. ইউনূসের আইনজীবী।
আদালত এ বিষয়ে লিখিত আবেদন দিতে বলেছেন। এ সময় ড. ইউনূসের আইনজীবী লিখিত আবেদন করার জন্য সময় চান। পরে আদালত আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর এ মামলার পরবর্তী জেরার দিন ধার্য করেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সেই আবেদন করা হয়েছে।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে এ মামলা করেছিলেন অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ড. ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে তারা শ্রম আইনের লঙ্ঘনের বিষয়ে জানতে পারেন। এর মধ্যে ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা থাকলেও তাদের স্থায়ী করা হয়নি। শ্রমিকদের অংশগ্রহণের তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয়নি।
 
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
      