• ঢাকা সোমবার
    ২০ মে, ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
কে এম নুরুল হুদা

ভোটের তারিখ পেছানোর সুযোগ আছে

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৭, ২০২৩, ০৫:৩৪ পিএম

ভোটের তারিখ পেছানোর সুযোগ আছে

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সমঝোতার মাধ্যমে হলে প্রয়োজনে ভোটের তারিখ পেছানোরও সুযোগ আছে বলে মনে করেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। সেক্ষেত্রে আরও সাত থেকে দশ দিন তফসিল পেছালেও সাংবিধানিক কোন ব্যত্যয় হবে না বলে জানান তিনি। তবে, এক্ষেত্রে শর্তহীন সংলাপ আর উভয় পক্ষের সদিচ্ছা জরুরি বলেই মনে করছেন সাবেক এ সিইসি।

রাজনৈতিক সংকট সমাধানে দফায় দফায় সংলাপের ধোঁয়া উড়লেও তা আবার বাতাসেই মিলিয়ে গেছে। সবশেষ তফসিলের আগের দিনেও ডোনাল্ড লু-এর সংলাপের আহ্বানের চিঠি নিয়ে দৌড়ঝাঁপ করেছেন পিটার হাস।

জাতীয় পার্টি আগেই বলেছে, সংলাপের এ তাগিদকে হুমকি হিসেবে দেখছেন তারা। আলোচনার সময় ফুরিয়ে যাবার কথা বললেও দলীয় সভাপতিকে বিষয়টি জানানো হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদের। তবে এ ইস্যুতে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি বিএনপি।

এমন অবস্থায় সংলাপের সম্ভাবনা ক্ষীণ হলেও স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে সংলাপ হলে কী হবে? সাবেক সিইসি কে এম নুরুল হুদা বলছেন, রাজনৈতিক ঐকমত্য হলে সবই সম্ভব। সংলাপের পর সবাই একমত হলে আরও প্রায় সাত থেকে দশ দিন সময় থাকবে তফসিল পেছানোর। অর্থাৎ পুনঃতফসিল দিয়েও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার মধ্যে নির্বাচন করার সুযোগ থাকছে।

তিনি বলেন, সংলাপ করতে হলে পরিবেশ তৈরিও প্রয়োজন। একই সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোকে সমঝোতার মনোভাব নিয়েই বসতে হবে।

সরকার, রাজনৈতিক দল, আর ভোটার - সবপক্ষের সহায়তা কিংবা সদিচ্ছা না থাকলে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয় বলেও মনে করেন সাবেক এ সিইসি।

এদিকে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বুধবার তফসিল ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের একাধিক উদাহরণও আমরা দেখেছি। এমনকি তফসিল ঘোষণার পর একটি নির্বাচন সম্পূর্ণ বাতিলেরও উদাহরণ দেখেছি।’

স্পষ্টতই বাংলাদেশে রাজনীতি এবং আসন্ন নির্বাচন উভয়ই এখনও সম্পূর্ণ তরল অবস্থায় রয়েছে। সময়ই বলে দেবে বাংলাদেশের গণতন্ত্র কোন দিকে যাচ্ছে!

 

সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন

 

জেকেএস/

আর্কাইভ