 
              প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৬, ২০২৩, ০১:২১ এএম
-20231215132120.jpg) 
                 ছবি: সংগৃহীত
অবৈধ পথে ক্ষমতা দখলের পর তা ধরে রাখতেই বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তবে শিগগিরই সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দেন মন্ত্রী।
জাপান রেড আর্মির সদস্যরা ১৯৭৭ সালে বিমান ছিনতাই করে ঢাকায় আনেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ বিমান ও সেনাবাহিনীর শত শত সদস্যের বিরুদ্ধে সামরিক অভ্যুত্থানের অভিযোগ আনেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। সামরিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় প্রায় দেড় হাজার জনকে, যাদের অধিকাংশেরই মরদেহের সন্ধান আজও মেলেনি।
এ ঘটনার পর থেকেই বিচারের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করে আসছে হত্যাকাণ্ডের শিকার পরিবারের সদস্যরা। ৪৭ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও কোনো সুরাহা মেলেনি।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে জিয়ার মরণোত্তর বিচারের দাবিতে রাজধানীর শিল্পকলায় ‘কোথায় ছিল মানবাধিকার’ প্রতিপাদ্যে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে মায়ের কান্না সংগঠন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
অনুষ্ঠানে জিয়ার মরণোত্তর বিচারের পাশাপাশি নিহতদের তালিকা প্রকাশ করে স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপনের দাবি জানান স্বজনরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, অবৈধ পথে ক্ষমতা দখলের পর তা ধরে রাখতেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান।
তবে বর্তমান সংবিধানে মরণোত্তর বিচারের সুযোগ না থাকায় শিগগিরই হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়াদের স্বীকৃতি দেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, জিয়া অবৈধ পথে ক্ষমতায় এসেছিলেন। আর সেই ক্ষমতা ধরে রাখতেই মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছেন। কারণ মুক্তিযোদ্ধারাই তাকে চ্যালেঞ্জ করার ক্ষমতা রাখতেন।
‘অবশ্যই এর বিচার হওয়া উচিত। শিগগিরই যাদের হত্যা করা হয়েছে তাদের স্বীকৃতি দেয়া হবে। আপনারা যে রিট করেছেন এই রিটের সমাধান শিগগিরই হবে। আমি দৃঢ়কণ্ঠে বলতে পারি এর বিচার অবশ্যই পাবেন আপনারা’, যোগ করেন আনিসুল হক।
তিনি বলেন, সংবিধানে মরণোত্তর বিচারের সুযোগ নেই। কিন্তু আপনারা যেই কাজটা করছেন, তরুণ প্রজন্মকে জানাচ্ছেন আর তরুণ প্রজন্ম ধিক্কার জানাচ্ছে এটাই জিয়ার বিচার।
জেকেএস/
 
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
      