 
              প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৪, ০৮:৩৯ পিএম
 
                 
                            
              দেশে এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। মৃত্যুর পাশাপাশি আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর চাপ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, চলতি সপ্তাহে (শনি-শুক্রবার) ডেঙ্গুতে ১৯ জনের মৃত্যু এবং ৫ হাজার ৪৪০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
গত সাত দিনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২১ সেপ্টেম্বর ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু এবং ৮৪৩ জন হাসপাতালে, ২২ সেপ্টেম্বর ছয়জনের মৃত্যু এবং ৯২৬ জন হাসপাতালে, ২৩ সেপ্টেম্বর দুইজনের মৃত্যু এবং ৮৬৬ জন হাসপাতালে, ২৪ সেপ্টেম্বর তিনজনের মৃত্যু এবং ৮০১ জন হাসপাতালে, ২৫ সেপ্টেম্বর দুইজনের মৃত্যু এবং ৮৫৪ জন হাসপাতালে, ২৬ সেপ্টেম্বর তিনজনের মৃত্যু এবং ৮২৯ জন হাসপাতালে এবং ২৭ সেপ্টেম্বর দুইজনের মৃত্যু এবং ৩২১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৭ হাজার ৭০৭ জন। এরমধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২৪ হাজার ৬২০ জন। মারা গেছেন ১৪৩ জন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিস্থিতি শিগগিরই নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে আসছে অক্টোবরে আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে ডেঙ্গুর প্রকোপ।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনে পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একইসঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেনতনা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।
 
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
      