 
              প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৫, ২০২৪, ০৬:৫৯ পিএম
 
                 
                            
              পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন বলেছেন, পুলিশের প্রাণঘাতি অস্ত্র ব্যবহার সীমিত করতে প্রস্তাব দেওয়া হবে। অস্ত্র ব্যবহার নীতির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র নয়, ইউরোপের বিভিন্ন দেশের মডেল অনুসরণ করা হবে।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে পুলিশ সংস্কার বিষয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সফর রাজ বলেন, পুলিশ যাতে শান্তিপ্রিয় হয়, জনগণের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে পারে এবং কোনোভাবেই পুলিশ যেন মানুষের প্রতিপক্ষ না হয়- সে লক্ষ্যেই কাজ করছে কমিশন।
তিনি আরও বলেন, সংস্কার প্রস্তাবের সঙ্গে সরকার একমত হলে তা বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাওয়া যাবে। পুলিশকে ধীরে ধীরে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যাতে তাদের প্রাণহানিকর অস্ত্র ব্যবহার করতে না হয়।
এ সময় পুলিশ সংস্কার কমিশনের সদস্য সচিব আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা পুলিশকে জনগণের বন্ধু হিসেবে দেখতে চাই। এর জন্য বাহিনীটি একটি কাঠামোর মধ্যে আনতেই হবে।
এদিকে, অস্ত্র হাতে পুলিশের নৃশংসতার প্রমাণ স্বজন হারাদের কথায় পাওয়া যায়। কারও সন্তান ছাত্র-জনতার আন্দোলনে প্রাণ হারিয়েছে; আবার ভিন্ন রাজনৈতিক আর্দশের কারণে গত ১০ বছর ধরে কারও খোঁজ নেই। বৈঠকে বিগত ১৫ বছর ধরে পুলিশের হাতে নির্যাতিত পরিবারের সদস্যরা তাদের অসহায়ত্ব তুলে ধরেন।
ভুক্তোভোগীরা জানান, গুম বা নির্যাতনের ঘটনার পর উল্টো পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের ওপর নিপীড়ন চালানো হয়েছে। এ সময় পুলিশ যাতে কোনোদিনই রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার না হয়, তা নিশ্চিতে উপস্থিত সবাই একমত হন। পুলিশ ও ঘুষ- এ দুটি শব্দকে আলাদা করার দাবিও জানানো হয় বৈঠকে।
 
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
      