 
              প্রকাশিত: মে ৮, ২০২৫, ০৯:০৩ পিএম
 
                 
                            
              কোনো টাকা পরিশোধ না করে ঢাকার গুলশানে ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডের ফ্ল্যাট দখল করার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে ও যুক্তরাজ্যের সাবেক মন্ত্রী রিজওয়ানা সিদ্দিক টিউলিপসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক ও তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাদেরকে আগামী ১৪ মে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।
বুধবার ঢাকায় তাদের বাসার ঠিকানায় চিঠিগুলো পাঠানো হয়েছে। টিউলিপ সিদ্দিকের ঢাকার ধানমন্ডি ও গুলশানের বাসায় চিঠি পাঠানো হয়। আজ বৃহস্পতিবার দুদকের জনসংযোগ বিভাগের প্রধান মো. আকতারুল ইসলাম এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
চিঠিতে বলা হয়, টিউলিপ সিদ্দিকসহ অন্যারা পরস্পর যোগসাজশে অপরাধমূলক ষড়যরান্ত্র, অসদাচরণ ও বিশ্বাস ভঙ্গ করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোনো টাকা পরিশোধ না করেই অবৈধ পারিতোষিক হিসেবে ইস্টার্ন হাউজিং কোম্পানির কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়ে রেজিস্ট্রি মূলে ফ্ল্যাটটি দখল করেছেন।
ঢাকার গুলশান-২-এর ৭১ নম্বর রোডের ৫-এ ও ৫বি (পুরাতন), বর্তমানে- ১১এ, ১১বি (নতুন) প্লটের বি/২০১ নম্বর ফ্ল্যাটটি দখলে নেওয়া হয় ২০০১ সালের ১৯ মে মাসে যখন মায়ের বড় বোন শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। একইদিনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও যে দুইজনকে তলব করা হয়েছে। তারা হলেন রাজউকের সাবেক সহকারি আইন উপদেষ্টা শাহ মো. খসরুজ্জামান ও সরদার মোশারফ হোসেন।
এই অভিযোগে গত ১৫ এপ্রিল তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল দুদক। বর্তমানে মামলটির তদন্ত চলছে। এই পর্যায়ে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট পেশ করা হবে।
দুদক জানায়, অবৈধভাবে ফ্ল্যাটটি নেওয়ার প্রমাণ রয়েছে। বলা হয়, ইস্টার্ন হাউজিংয়ের এক পত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়, রিজওয়ানা সিদ্দিক টিউলিপ বিনামূল্যে ফ্ল্যাট নিয়েছেন। বেআইনিভাবে প্রভাবিত করা ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ হিসেবে বলা হয়, ইস্টার্ন হাউজিং থেকে রাজউকে পাঠানো ফ্ল্যাট মালিকদের তালিকায় রাজউকের এ সংক্রান্ত নোট শিটের ৫ নম্বর ক্রমিকে রিজওয়ানা সিদ্দিক টিউলিপের নাম রয়েছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকার ২০০১ সালের ১৯ মে থেকে রিজওয়ানা সিদ্দিক টিউলিপের দখলে ওই ফ্ল্যাটটি রয়েছে মর্মে ঢাকা সিটি করপোরেশনে চিঠি দিয়েছে ইস্টার্ন হাউজিং। তিনি ২০০১ সালের ১৯ মে ফ্ল্যাটটির হস্তান্তরপত্র গ্রহণ করে ওই তারিখ থেকে হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদান করে আসছেন।
 
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
      