
প্রকাশিত: মে ১৪, ২০২৫, ১০:০৭ পিএম
সেনাবাহিনীর সাবেক সদস্যদের শাস্তি পুনর্বিবেচনার দাবি-দাওয়ার বিষয়ে নেতিবাচক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে এবং ধৈর্য্য, শৃঙ্খলা ও সহনশীলতা বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছে সেনাবাহিনী।
আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সেনাবাহিনী বলেছে, “সাম্প্রতিক সময়ে কতিপয় সাবেক সেনাসদস্যের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার কিছু আবেদন উত্থাপিত হয়েছে যা সেনাসদর সর্বোচ্চ গুরুত্বের সাথে গ্রহণ করেছে। মানবিক ও প্রশাসনিক বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে এ সকল আবেদনসমূহ যথাযথভাবে পর্যালোচনার উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যে সেনাসদরে উচ্চপর্যায়ের একটি পর্ষদ গঠিত হয়েছে এবং এই পর্ষদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।”
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ সংক্রান্ত মোট ৮০২টি আবেদন গৃহীত হয়েছে, যার মধ্যে ১০৬টি আবেদন চূড়ান্ত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডে পাঠানো হয়েছে। বাকি ৬৯৬টি আবেদন পর্যায়ক্রমে যাচাই-বাছাই এবং মূল্যায়ন সাপেক্ষে নিষ্পত্তির কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বিষয়টি সময়সাপেক্ষ হলেও সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ আন্তরিকতা এবং দায়িত্ববোধের সাথে কাজ করে যাচ্ছে বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
“সরকার ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, সাবেক সেনাসদস্যদের প্রাপ্য সম্মান, মর্যাদা ও ন্যায্য দাবিসমূহের প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধাশীল এবং ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিশ্বাস করে—পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সহানুভূতি ও যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে চলার মাধ্যমেই প্রতিটি সমস্যা শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করা সম্ভব,” বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
এ বিষয়ে যে কোনো ধরনের নেতিবাচক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে ধৈর্য্য, শৃঙ্খলা ও সহনশীলতা বজায় রাখার জন্য পরামর্শ প্রদান করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
প্রসঙ্গত, গত বছর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সেপ্টেম্বরে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চাকরিচ্যুত সেনাসদস্যরা বকেয়া বেতন-ভাতাসহ চাকরি পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন।
ওই একই সময় সময় অর্ধশতের বেশি চাকরিচ্যুত সেনাসদস্য প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে তাদের দাবি বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।
‘সহযোদ্ধা’ নামে চাকরিচ্যুত সেনাসদস্যদের একটি প্ল্যাটফর্ম থেকে তারা এসব দাবি তুলে ধরেছিলেন।
এরপর ডিসেম্বর মাসে চাকরিতে পুনর্বহাল ও বিচার ব্যবস্থার সংস্কারসহ তিন দফা দাবিতে ঢাকা সেনানিবাসের শহীদ জাহাঙ্গীর গেটের সামনে অবস্থান নেন চাকরিচ্যুত ও বাধ্যতামূলক অবসরে সশস্ত্র বাহিনীর একদল সদস্য। পরে তাদের আবেদনের পরামর্শ দেয় কর্তৃপক্ষ।
এরপরও বিভিন্ন সময়ে সাবেক সেনাসদস্যদের জাহাঙ্গীর গেট বা রাওয়া ক্লাব এলাকায় নানা কর্মসূচি পালন করতে দেখা গেছে।