• ঢাকা মঙ্গলবার
    ১৯ আগস্ট, ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২

৩ শর্তে পিতৃত্বকালীন ছুটিতে রাজি স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২৫, ০৯:২১ পিএম

৩ শর্তে পিতৃত্বকালীন ছুটিতে রাজি স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, আমার মনে হয় না আলাদা পিতৃত্বকালীন ছুটি দরকার আছে। তবে পিতৃত্বকালীন ছুটিতে শর্ত থাকা উচিত, শিশুকে সময় দিতে হবে, শিশুর যত্ন নেওয়ায় সমান অংশগ্রহণ থাকতে হবে এবং শিশুটির মায়ের সেবা করতে হবে। সব লিখিতভাবে দিতে পারলে এই ছুটির বিষয়ে রাজি আছি। না হলে নেই।

রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত কর্মশালায় সোমবার (১৮ আগস্ট) এ কথা বলেন তিনি। কর্মশালার আয়োজন করে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ। সহযোগিতা করে বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশন (বিবিএফ)।

নূরজাহান বেগম বলেন, শিশুদের গুঁড়া দুধ খাওয়াতে উদ্বুদ্ধ না করে সমন্বিতভাবে মাতৃদুগ্ধের ওপর জোর দেওয়া প্রয়োজন। এ জন্য সচেতনতা তৈরি করতে হবে। সব ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের দোষারোপ করে লাভ নেই। যেখানে ধারণ ক্ষমতা ২ হাজার ৬০০, সেখানে রোগী আসে ৫ হাজার। এক হিসাব অনুযায়ী ৬৫ শতাংশ ডেলিভারি হয় হাসপাতাল বা ক্লিনিকে এবং ৩৫ শতাংশ গৃহে। কাজেই ধাত্রীদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে হবে।

তিনি বলেন, মাতৃদুগ্ধ নিয়ে কাজ এককভাবে সরকার বা স্বাস্থ্য সেক্টরের নয়, বরং এনজিও কর্মী থেকে শুরু করে মসজিদের ইমামেরও। খুতবায় এ বিষয়ে কথা বলা যেতে পারে। এমনকি মন্দির ও গির্জায় সচেতনতামূলক আলোচনা হতে পারে। এখানে মিডিয়ারও দায়িত্ব আছে।

কর্মশালার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস কে রায়। তিনি জানান, দেশে মাতৃদুগ্ধপানের হার কমছে। ২০১৭-১৮ সালে প্রথম ছয় মাসে একচেটিয়াভাবে মায়ের দুধ খাওয়ানোর হার ছিল ৬৫ শতাংশ, যা ২০২২ সালের জরিপে কমে দাঁড়িয়েছে ৫৮ শতাংশে।

সভাপতির বক্তব্যে স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সরোয়ার বারী বলেন, মেধাসম্পন্ন জাতি গড়তে চাইলে শিশুকে মাতৃদুগ্ধ খাওয়ানো নিশ্চিত করতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক আশরাফী আহমদ, স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নাজমুল হোসেন, বিবিএফের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সারিয়া তাসনিম প্রমুখ।

আর্কাইভ