
প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০২৫, ০৭:২২ পিএম
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ১৭ কর্মকর্তার সস্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) রাজধানীর সেগুন বাগিচায় দুদক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ সব তথ্য জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক।
দেড় মাসের অনুসন্ধানের এনবিআরের ১৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পেয়েছে দুদক। যার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ জারি করা হয়েছে বলে জানানআক্তার হোসেন।
তিনি জানান, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪-এর ২৬(১) ধারা এবং দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা ২০০৭-এর ১৭ নং বিধির আলোকে নির্ধারিত ছক অনুযায়ী তাদের সম্পদ ও দায়-দেনার হিসাব বিবরণী দাখিলের আদেশ জারির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিশন কর্তৃক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
যে ১৭ কর্মকর্তার হিসাব চাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে তারা হলেন- কর কমিশনার (কর অঞ্চল-৩) এম এম ফজলুল হক, কর আপিল ট্রাইব্যুনালের কমিশনার লোকমান আহমেদ, আয়কর গোয়েন্দা ইউনিটের অতিরিক্ত কর কমিশনার সাহেলা সিদ্দিক, অতিরিক্ত কর কমিশনার মো. মামুন মিয়া, ভ্যাট গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার হাছান তারিক রিকাবদার, যুগ্ম কর কমিশনার মোনালিসা সাহরিন সুস্মিতা, কর অ্যাকাডেমির যুগ্ম-কর কমিশনার মো. মোরশেদ উদ্দিন খান, কর অঞ্চল ৮-এর অতিরিক্ত কর কমিশনার মির্জা আশিক রানা, কর অঞ্চল ১৬-এর উপকর কমিশনার মো. শিহাবুল ইসলাম, অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল রশিদ মিয়া, রেলওয়ে কাস্টমসের কমিশনার মো. কামরুজ্জামান, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট পূর্বাঞ্চলের কমিশনার কাজী মোহাম্মদ জিয়া উদ্দিন, কাস্টমসের অতিরিক্ত কমিশনার সাধন কুমার কুন্ডু, এনবিআরের যুগ্ম কমিশনার মো. তারিক হাছান, এনবিআরের সিআইসির সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. আলমগীর হোসেন, এনবিআরের সদস্য মো. লুৎফুল আজিম ও সদস্য (আয়কর নীতি) এ কে এম বদিউল আলম।
প্রসঙ্গত, সংস্কারসহ নানা দাবিতে গত জুনে এনবিআর কর্মকর্তাদের আন্দোলন যখন তুঙ্গে। ঠিক তখনই আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও অতিরিক্ত কমিশনার হাছান তারেক ও সদস্যসহ বিভিন্ন পর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কর ফাঁকির সুযোগ করে দিয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধানে নামে দুদক।