• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ২৮ আগস্ট, ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২

সভায় বসেছে প্রকৌশলীদের দাবি নিয়ে গঠিত কমিটি

প্রকাশিত: আগস্ট ২৮, ২০২৫, ০৩:৪৭ পিএম

সভায় বসেছে প্রকৌশলীদের দাবি নিয়ে গঠিত কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সভায় বসেছে প্রকৌশল পেশায় বিএসসি ডিগ্রিধারী ও ডিপ্লোমাধারীদের পেশাগত দাবিগুলোর যৌক্তিকতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সুপারিশ দিতে গঠিত কমিটি। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সচিবালয়ে ১ নম্বর নতুন ভবনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সিনিয়র সচিবের দপ্তরের সঙ্গে ছোট কনফারেন্স রুমে বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে এই বৈঠক শুরু হয়।

সভায় তিনজন উপদেষ্টা, প্রকৌশলীদের সংগঠনের দুজন প্রতিনিধিসহ মোট ছয় জন উপস্থিত রয়েছেন। দুজন সদস্য উপস্থিত হতে পারেননি।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ; সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সভায় সভাপতিত্ব করছেন।

সভায় শিল্প মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান উপস্থিত রয়েছেন। বিদেশে থাকায় আরেক সদস্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার সভায় অনুপস্থিত রয়েছেন।

এছাড়া ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ-এর সভাপতি প্রকৌশলী মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম, ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স-এর সভাপতি প্রকৌশলী মো. কবির হোসেনও‌ সভায় উপস্থিত রয়েছেন। সভায় রয়েছেন কমিটির সদস্য সচিব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় অতিরিক্ত সচিব (সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা) কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক।

অসুস্থ থাকায় বোর্ড অব অ্যাক্রেডিটেশন ফর ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনিক্যাল এডুকেশন, বাংলাদেশ-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী তানভির মঞ্জুর সবাই আসতে পারেননি।

তিন দফা দাবিতে গত দুদিন ধরে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে আন্দোলন করছেন বুয়েটসহ বিভিন্ন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বুধবার তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা ঘেরাওয়েরও চেষ্টা করেন। এসময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ হয়। বৃহস্পতিবার সব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শাটডাউন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।

বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে তিন দফা দাবি নিয়ে আট সদস্যের কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

আন্দোলনরত প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের তিনদফা দাবির মধ্যে রয়েছে- নবম গ্রেডের ইঞ্জিনিয়ারিং পদ বা সহকারী প্রকৌশলী বা সমমানের পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে এবং প্রার্থীর কমপক্ষে বিএসসি ডিগ্রি থাকতে হবে। কোটার মাধ্যমে পদোন্নতি দেওয়া যাবে না। এমনকি বিভিন্ন নামে সমমানের পদ সৃষ্টি করেও পদোন্নতি দেওয়া যাবে না।

দশম গ্রেডের কারিগরি পদ বা উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমানের পদের জন্য নিয়োগ পরীক্ষা ডিপ্লোমা এবং বিএসসি ডিগ্রিধারীদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।

ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ডিগ্রি না থাকলেও ইঞ্জিনিয়ার পদবি ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তারা ছয় মাস ধরে দাবি জানিয়ে এলেও সরকার এসব দাবি পূরণে কাজ করেনি। সরকার তাদের রাস্তায় নামতে বাধ্য করেছে।

আর্কাইভ