• ঢাকা শনিবার
    ১৮ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে গাজর ও টমেটো

প্রকাশিত: জুলাই ২৩, ২০২১, ০১:১৪ পিএম

চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে গাজর ও টমেটো

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঈদের তৃতীয় দিনেও বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে গাজর ও টমেটো। কেজিতে দাম বেড়েছে প্রায় ৫০ টাকা। যার কারণে সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে গেছে সবজি দুটি। এ ছাড়াও রাজধানীর বাজারগুলোতে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। বেড়েছে কাঁচা মরিচের দামও। 

শুক্রবার (২৩ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাজার ঘুরে দেখা যায়, এখনও বেশির ভাগ সবজির দোকান বন্ধ। সবজির মতো মাছ বাজারেও অল্পকিছু ব্যবসায়ীকে মাছ বিক্রি করতে দেখা যায়। এখানেও দাম চড়া।

বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, মানভেদে গাজরের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকায়; যা ঈদের আগে ছিল ১০০ থেকে ১১০ টাকার মধ্যে। আর পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা; যা ঈদের আগে ছিল ১০০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে।

ঈদের কারণেই গাজর ও টমেটোর চাহিদা বেড়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। আর চাহিদার তুলনায় বাজারে এ দুটি পণ্যের সরবরাহ কম। 

রামপুরা বাজারে আসা ক্রেতা হালিম মিয়া বলেন, ‘একটু সালাদ খাওয়ার জন্য টমেটো, গাজর কিনতে এসেছিলাম। কিন্তু গাজরের কেজি ১৭০ টাকা এবং টমেটোর কেজি ১৫০ টাকা চাইছে। শসার দাম চাইছে ৭০ টাকা। এত দাম দিয়ে আমাদের পক্ষে কিনে খাওয়া সম্ভব নয়। তাই ফিরে যাচ্ছি।’

বর্তমানে অন্যান্য সবজির দামও চড়া। বেগুনের কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঝিঙার কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, করলার কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, চিচিঙ্গার কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি কেজিপ্রতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া কাঁচা মরিচের পোয়া (২৫০ গ্রাম) বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, তা ঈদের আগে ছিল ১৫ থেকে ২০ টাকা।

ঈদের আগে দাম বেড়ে যাওয়া আদা এখনও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। আমদানি করা আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২০০ টাকা। আর দেশি আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৬০ টাকা। এর সঙ্গে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। দেশি পেঁয়াজের কেজি আগের মতো ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

মাছ বাজারে গিয়ে দেখা যায়- চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা কেজি, যা ঈদের আগে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছিল। অন্যান্য মাছের দামও কিছুটা বেড়েছে। কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে তেলাপিয়া মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ৩২০ টাকা।

মাংসের বাজারে গিয়ে গরু ও খাসির মাংসের দোকান বন্ধ দেখা গেছে। তবে কিছু মুরগির দোকান খোলা পাওয়া যায়। এসব দোকানে আগের মতো ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা। আর সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৩০ টাকা।

টিআর/এম. জামান
আর্কাইভ