
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৫, ০৯:২৪ পিএম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ ভিপি (সহ-সভাপতি) পদপ্রার্থী সাদিক কায়েম নির্বাচনকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন। নির্বাচন বানচালের যেকোনো প্রচেষ্টা শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দিবে বলেও এসময় হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষে সন্ধ্যা সাতটার দিকে সংবাদ সম্মেলনে আসে শিবির–সমর্থিত প্যানেলের পদপ্রার্থীরা। তখন তিনি এসব কথা বলেন। এতে নানা অভিযোগ করা হয়। ছাত্রদলের দিকেই এসময় বেশি অভিযোগের তীর ছোড়া হয়।
ইউল্যাব কেন্দ্রে আড়াই ঘণ্টা ধরে পোলিং এজেন্ট এবং অবজার্বারদের ঢুকতে দেয়া হয়নি এমন অভিযোগ তুলে সাদিক বলেন, একুশে হল ও টিএসসি কেন্দ্রেও ভোট সংশ্লিষ্টদের কিছু কারচুপির খবর পাওয়া গেছে। যারা এই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ ও বানচালের চেষ্টা করছে তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে।
ডাকসুতে সুষ্ঠু নির্বাচন শহীদদের আকাঙ্খা জানিয়ে তিনি সকল পক্ষকে দায়িত্বশীল আচারণের আহ্বান জানান। বিভিন্ন দলের লোকজন ক্যাম্পাসের আশপাশে জড়ো হচ্ছে জানিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হলে তাদের পরিণতি শেখ হাসিনার থেকেও খারাপ হবে। এসময় ভিসির সঙ্গে ছাত্রদলের ঢাবি ইউনিটের সভাপতির বাজে ব্যবহারের সমালোচনাও করেন তিনি।
শিক্ষার্থীরা যাকে নির্বাচিত করবেন তাদের সাথেই মিলেমিশে কাজ করবেন বলে জানান সাদিক কায়েম। এখন পর্যন্ত ভোট ঘিরে যতো অভিযোগ উঠেছে সেগুলোর সুষ্ঠু তদন্তের দাবিও তোলেন তিনি।
নিজের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগের বিষয়ে ভিপি পদপ্রার্থী সাদিক বলেন, আমি মূলত ওই কেন্দ্রে গিয়েছিলাম অভিযোগ জানানোর জন্য। ওই সময়ে রিটার্নিং কর্মকর্তারা চলে যাচ্ছিলো এটাই মূল কনসার্নে ছিল। তাছাড়া একই সময়ে আমার সাথে অন্যান্য দলের প্রার্থীরাও কেন্দ্রে প্রবেশ করেছিল। এসময় নির্দিষ্ট একটি কেন্দ্রের সাদা দলের এক শিক্ষকের সমালোচনাও করেন তিনি। অভিযোগ তোলেন, তিনি সুযোগ নিতে চেয়েছিলেন।
এসময় একই প্যানেলের জিএস (সাধারণ সম্পাদক) ফরহাদ বলেন, ডাকসু নির্বাচন শিক্ষার্থীদের জন্য। এখানে জাতীয় রাজনৈতিক দল নিয়ে মহড়া লজ্জাজনক।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে সব জায়গায় নির্দিষ্ট দলের লোকজনকে দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় ব্যর্থ হয়ে তারা এখন নানান ধরনের নাটক মঞ্চস্থ করার চেষ্টা করছে। তবে ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের’ বিরুদ্ধে তোলা যেকোনো অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাস্তি মাথা পেতে নেয়া হবে।
এসময় শিক্ষকদের প্রতি ছাত্রদলের আচারণের প্রতিবাদও করেন ফরহাদ। অভিযোগ তোলেন, কেন্দ্রের বাইরে এলএডি স্ক্রিন, ভেতরে নির্দিষ্ট দলের পোলিং এজেন্ট থাকা সত্ত্বেও ছাত্রদলের প্রার্থীরা জোর করে এখনও ভোট কেন্দ্রে ঢুকবার চেষ্টা করছে। এভাবে মব সৃষ্টি শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে নেবে না। শিক্ষার্থীদের পালস বুঝতে হবে, তাদের সিদ্ধান্তকে সন্মান দিতে হবে।