
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৫, ০১:১৮ পিএম
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তার ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, ‘ডাকসু নির্বাচনে বিজয়ী ও বিজিত সবাইকে অভিনন্দন। জয়-পরাজয় মূখ্য নয়, ভোট দেওয়ার অধিকার ফিরে আসাটাই গুরুত্বপূর্ণ। এটা গণতন্ত্রের বিজয়, বর্ষা বিপ্লবের পর নতুন বাংলাদেশের বিজয়।’
এবারের ডাকসু নির্বাচনে ভিপি, জিএস, এজিএসসহ ২৮টি পদে ২৩টিতে বিজয়ী হয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’।
বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার পর ঢাবির সিনেট ভবনে আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করেন ডাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।
শীর্ষ তিন পদে বিজয়ীরা হলো:
ভিপি: মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম)- ১৪,০৪২ ভোট
জিএস: এস এম ফরহাদ- ১০,৭৯৪ ভোট
এজিএস: মুহা. মহিউদ্দীন খান- ১১,৭৭২ ভোট
এর বাইরে আরও ২০টি পদে জোটের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। উল্লেখযোগ্য পদগুলো হলো:
মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক: ফাতেমা তাসনিম জুমা- ১০,৬৩১ ভোট
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক: ইকবাল হায়দার- ৭,৮৩৩ ভোট
আন্তর্জাতিক সম্পাদক: খান জসিম- ৯,৭০৬ ভোট
ছাত্র পরিবহন সম্পাদক: আসিফ আবদুল্লাহ- ৯,০৬১ ভোট
ক্রীড়া সম্পাদক: আরমান হোসাইন- ৭,২৫৫ ভোট
কমন রুম, রিডিং রুম ও কাফেটেরিয়া সম্পাদক: উম্মে ছালমা- ৯,৯২০ ভোট
মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক: সাখাওয়াত জাকারিয়া- ১১,৭৪৭ ভোট
স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক: এম এম আল মিনহাজ- ৭,০৩৮ ভোট
ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক: মাজহারুল ইসলাম- ৯,৩৪৪ ভোট
সদস্য পদে জয়ী হয়েছেন সাবিকুন্নাহার তামান্না, সর্বমিত্র, আনাস ইবনে মুনির, ইমরান হোসেন, তাজিনুর রহমান, মেফতাহুল হোসেন আল মারুফ, বেলাল হোসাইন অপু খান, রাইসুল ইসলাম, মো. শাহিনুর রহমান, মোছা. আফসানা আক্তার ও রায়হান উদ্দীন।
প্যানেলের বাইরে পাঁচটি পদে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। তারা হলেন:
সমাজসেবা সম্পাদক: যুবাইর বিন নেছারী
সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক: মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ
গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক: সানজিদা আহমেদ তন্বী
সদস্য পদ: হেমা চাকমা ও উম্মা উসউয়াতুন রাফিয়া
নির্বাচনে মোট ৪৭১ জন প্রার্থী লড়েছেন। ডাকসুর ২৮টি পদের পাশাপাশি ১৮টি হল সংসদে ২৩৪টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। ভোটার সংখ্যা ছিল ৩৯,৮৭৪ জন, যার মধ্যে ২০,৯১৫ জন ছাত্র এবং ১৮,৯৫৯ জন ছাত্রী।
চিফ প্রসিকিউটরের মন্তব্য শিক্ষার্থীদের মনে করিয়ে দেয়, বিজয় বা পরাজয় নয়, গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগই আসল অর্জন।