
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৫, ০৯:২৬ পিএম
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ক্যাপ্টেন মুনতাসির রহমান জেদ্দা বিমানবন্দরে আটক হয়েছেন। বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজের পাইলট মুনতাসির এর আগেও বিভিন্ন সময়ে নানা কাণ্ড ঘটিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে পাসপোর্ট ছাড়া ফ্লাই করায় জেদ্দা ইমিগ্রেশন তাকে জিজ্ঞাসবাদের পর আটক করেন।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে বিমান কর্তৃপক্ষের তত্ত্ববাধানে তাকে বিমানবন্দর থেকে হোটেল নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সন্ধ্যার ফ্লাইটে ক্যাপ্টেন মুনতাসিরের পাসপোর্ট পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে বিমান কর্তৃপক্ষ।
বিমানে জবাবদিহিতা না থাকায় এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। এর আগেও ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফ্লাইট চালিয়ে দোহায় গিয়ে আটক হন। তিনিও পাসপোর্ট ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর ফ্লাইট পরিচালনা করেন। সে সময় তাকে দোহা বিমানবন্দরের বাইরে যেতেই দেওয়া হয়নি। তিনি পরে অন্য ফ্লাইটে দেশে ফিরেন।
বিমানের অপর এক সূত্র জানায়, গত ৩১ জানুয়ারি ক্যাপ্টেন এনাম ঢাকা-লন্ডন রুটে মেয়াদ উত্তীর্ণ আইডি কার্ড নিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করায় তাকে হিথরো বিমানববন্দরে আটক করেন ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। এরপর তাকে টিকিট করে বিমানের ফ্লাইটে ফেরত পাঠানো হয়। এটিকে বলে আনসেভ অপারেশন। কারণ লং রুটের ফ্লাইটগুলোতে তিনজন ককপিট ক্রু দিয়ে অপারেশন করা হয়ে থাকে।
এ বিষয়ে বিমানের প্রধান নিবার্হী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. সাফিকুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি পরিচালক ফ্লাইট অপারেশনের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক বোসরা ইসলাম সিটি নিউজকে বলেন, পাইলট ভুলে নিজের পাসপোর্ট রেখে মায়ের পাসপোর্ট নিয়ে চলে যান। এটা ঢাকায় ইমিগ্রেশনে ধরা পড়েনি। এটা চেক করার দায়িত্ব ইমিগ্রেশনের। তারা ঠিক করে চেক করলে এমন পরিস্থিতি হতো না। পাইলট মুনতাসিরের পাসপোর্ট পাঠানো হয়েছে।