• ঢাকা বুধবার
    ২৯ অক্টোবর, ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২

জামায়াত নেতৃত্বাধীন জোটে কওমি ঘরনার ৫ দল, শতাধিক আসন ছাড়ের প্রস্তাব

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২৫, ১২:০১ পিএম

জামায়াত নেতৃত্বাধীন জোটে কওমি ঘরনার ৫ দল, শতাধিক আসন ছাড়ের প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয়তাবাদ ও ইসলামী মূল্যবোধের আর্দশিক চেতনায় বিএনপির সাথে র্দীঘদিন ভালো সর্ম্পক বজায় ছিল ইসলামপন্থী দলগুলোর। তবে, শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর সেই সর্ম্পকে ছেদ পড়ে। 

পিআরসহ নানা দাবিতে ইসলামপন্থী দলগুলোর আন্দোলনে এই দূরত্ব আরও স্পষ্ট হয়। বিএনপির সাথে সম্পর্কের অবনতি ঘটলে ধর্মভিত্তিক দলগুলো পরস্পর আরও কাছাকাছি আসে। সম্ভবনা তৈরি হয় নির্বাচনী জোট গড়ার।

জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, দেশপ্রেম, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, আদর্শিক রাজনীতি ও গণতান্ত্রিক রাজনীতি করে এ ধরনের দলের সাথে আমাদের রাজনৈতিক ও নির্বাচনী সমঝোতা হবে। সেক্ষেত্রে জোট কার সাথে হবে বা সমঝোতা কার সাথে হবে এটা সময় আসলে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো। 

দেশের কওমি ঘরনার বেশিরভাগ বড় দল দেওবন্দ আর্দশের। যাদের সাথে মওদুদী মতবাদ নিয়ে বহুদিনের বিরোধ জামায়াতের। কিন্তু সেই আকিদাগত দ্বন্ধ সরিয়ে নির্বাচনী সমঝোতায় যেতে চায় ইসলামীপন্থী পাঁচটি দল। তিনশ আসনের অন্তত একশ আসন চায় ইসলামী আন্দোলন, মামুনুল হকের খেলাফত মজলিস চায় ৫০টি। বাকি তিন দলের দাবি ৭০ থেকে ৮০টি আসন।

দলগুলোর নেতারা জানান, আকিদাগত দ্বন্দ ভুলে ইসলামী রাষ্ট্র গড়ার অভিপ্রায় থেকে জোট না গড়ে আসন সমঝোতায় যাচ্ছেন তারা। অবশ্য এমন ঘটনা বিএনপি শিবিরে তেমন উদ্বেগ তৈরি করতে পারেনি।

এই নির্বাচনী জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে ভোটের তফসিল ঘোষণার পর। এখন চলছে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ। শরিকদের কাছে শতাধিক আসন ছাড়ের প্রস্তাব দিয়েছে জামায়াত।

বাংলাদেশ খেলাফত মজিলসের আমির মামুনুল হক বলেছেন, আমরা মনে করি বৃহত্তর ক্ষেত্রে আমরা একটা জায়গায় ঐক্যবদ্ধ। অর্ধশতাধিক প্রার্থী রয়েছে, যারা ভালো অবস্থান নিয়ে নির্বাচনী মাঠে কাজ করছে। 

ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ বলেন, একটা আসনে ইসলামের পক্ষে একজন প্রার্থী থাকবে, যারা যেখানে সম্ভাবনা তৈরি করতে পেরেছে, তাদের সেখানে গুরুত্ব দেয়া হবে। তাদের প্রাধান্য দেয়া হবে। তাতে কেউ কম পাবে, কেউ বেশি পাবে। তফসিলের পরপরই আমরা এই সমঝোতার অবস্থানটা স্পষ্ট করবো।

এমন কৌশলের পাল্টা জবাবে দেওবন্দ আর্দশের ইসলামী বিভিন্ন গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে বিএনপি। এরইমধ্যে কওমি ঘরনার সবচাইতে পুরনো দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলামীর চার নেতাকে নির্বাচনী কাজে নামার সবুজ সংকেতও দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিনের দাবি, ভোটের মাঠে জামায়াত জোটের প্রভাব নেই। 

তিনি বললেন, অনেক জিরো প্লাস জিরো প্লাস জিরো ইজ জিরো। সুতরাং এগুলো নিয়ে আমরা অত চিন্তা করি না। তবে বিএনপিও তো ইসলামী ভাবধারার দল। আমরাও ইসলামিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী একটি রাজনৈতিক দল। সুতরাং নির্বাচনের আগে ইসলামের জিকির তোলা, এটি দেশের জন্য সঠিক আচরণ নয়। আর জামায়াতকে আমরা এখনও সেই ধরনের শক্তিশালী দল বলে মনে করি না। 

আসন সমঝোতা হলেও ইসলামীপন্হী জোটের একক কোন নেতৃত্ব থাকছে না। তবে সুরাহা হয়নি জোট ক্ষমতায় গেলে কে হবেন প্রধানমন্ত্রী কিংবা বিরোধী দলীয় নেতা।

জাতীয় সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ