প্রকাশিত: নভেম্বর ১৭, ২০২৫, ০৪:০২ পিএম
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এই খবরের পরই রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে সেজদায় লুটিয়ে পড়লেন ছাত্র-জনতা। কিছু ছাত্রের সেজদায় লুটিয়ে পড়ার দৃশ্য দেখে একে একে অন্যরাও সেজদায় লুটিয়ে সৃষ্টিকর্তার প্রতি প্রশংসা করেন।
সেজদায় পর দোয়া ও মোনাজাত করেন তারা। এ সময় জুলাই আন্দোলনে শহীদদের জন্য জান্নাতুল ফেরদৌস কামনা ও আহতদের সুস্থতার জন্য দোয়া কামনা করা হয়। এরপর আবারও স্লোগানে স্লোগানে শেখ হাসিনার কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানান ছাত্র-জনতা।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনাল-১এর চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। প্যানেলের অন্য সদস্যরা হলেন, বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
রায়ের খবরে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে এলাকায় শুরু হয় উল্লাস। আনন্দ মিছিল নিয়ে স্লোগান দেন ছাত্র-জনতা। তাদের মুখে শোনা যায়—‘লীগ ধর, জেলে ভর’, ‘এ মুহূর্তে খবর এলো—খুনি হাসিনার ফাঁসি হলো।’
এর আগে রায় ঘোষণার দিন সকাল থেকেই ধানমন্ডি ৩২-এ টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছিল। কয়েক দফা মুখোমুখি অবস্থান নেয় ছাত্র-জনতা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সংঘর্ষ, টিয়ারশেল ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকায়।
বৃহস্পতিবার এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য ১৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল। মামলায় শেখ হাসিনার পাশাপাশি আসামি ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন। আসামিদের মধ্যে চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন পরে রাষ্ট্রপক্ষের রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন এবং নিজের দায় স্বীকার করেন।