• ঢাকা রবিবার
    ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

বিএনপির নেতাকর্মী বাড়ছে, পুলিশের সংখ্যাও বাড়ছে

প্রকাশিত: জুলাই ২৮, ২০২৩, ০৬:৩৪ পিএম

বিএনপির নেতাকর্মী বাড়ছে, পুলিশের সংখ্যাও বাড়ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীতে আজ সমাবেশ করবে বিএনপি। তাদের মোকাবিলায় পাল্টা সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগের তিন সংগঠন। দুই সমাবেশেই ব্যাপক শোডাউনের প্রস্তুতি নিয়েছে দুই দল।  

নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আজ দুপুর ২টায় বিএনপির সমাবেশ শুরুর কথা থাকলেও সকাল থেকে দলে দলে আসছেন নেতাকর্মীরা। বেলা যত বাড়ছে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংখ্যা বাড়তে থাকায় বাড়ানো হচ্ছে পুলিশের জনবলও। প্রস্তুত রাখা হয়েছে পুলিশের আর্মড ভেহিক্যাল, এসকর্ট ভেহিক্যাল, সাঁজোয়া যান এপিসি ও জলকামান।

নিরাপত্তায় নিয়োজিত ও কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, পরিস্থিতি অনুযায়ী নিরাপত্তা নেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি পয়েন্টেই ফোর্স মোতায়েন করা হচ্ছে। যেখানেই নেতাকর্মীদের উপস্থিতি বেশি লক্ষ্য করা হচ্ছে সেখানেই ফোর্স পাঠানো হচ্ছে।

বিএনপি, আওয়ামী লীগ ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি রয়েছে আজ। আর সে কারণে নিরাপত্তা নিশ্চিতে বেগ পেতে হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনীকে।

জানা গেছে, বর্তমান সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিজয়নগর বিজয় ৭১ চত্বরে এবি পার্টি, মৎস্যভবনের সামনে সড়কে বিকেল ৩টায় গণতন্ত্র মঞ্চ, বিজয়নগর পানির ট্যাংকের সামনে বিকেল ৩টায় ১২ দলীয় জোট, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিকেল ৪টায় গণধিকার পরিষদ (কিবরিয়া-ফারুক), পল্টনে প্রীতম জামান টাওয়ার সামনে বিকেল ৩টায় গণঅধিকার পরিষদ (নুরু-রাশেদ), বিজয়নগর আল রাজি কমপ্লেক্সের সামনে ১১টা থেকে জাতীয়তাবাদী সম্মাননা জোট, মতিঝিলের নটরডেম কলেজের উল্টোপাশে বিকেলে গণফোরাম ও পিপলস পার্টির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

আজ (শুক্রবার) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা পৌনে ১১টা পর্যন্ত রাজধানীর মৎস্যভবন এলাকা, কাকরাইল মোড়, নয়া পল্টন, ফকিরাপুল, মতিঝিল, বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট এলাকা, নোয়াখালী টাওয়ার এলাকা, প্রেসক্লাব, সেগুনবাগিচা, মালিবাগ, শান্তিনগর, মৌচাক এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি সড়কে ও অলিগলিতে অবস্থান নিয়েছেন বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল প্রতিটি সড়ক। সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

বেলা পৌনে ১১টা পর্যন্ত, এসব এলাকায় পুলিশ ও আনসার বাহিনীর এজিবি টিমকে দেখা গেলেও র্যাব কিংবা বিজিবির কোনো সদস্যের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। 

বিএনপির মহাসমাবেশে অংশ নিতে আসা নেতাকর্মীদের অনেকেই অভিযোগ করেছেন, চার থেকে পাঁচটি পয়েন্টে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হতে হয়েছে তাদের। নানা ছলে নানা অজুহাতে পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে সমাবেশে এসেছেন তারা। তবে দলীয় বা জোট হয়ে মিছিল নিয়ে যারা সমাবেশে আসছেন তাদের বাধা দিচ্ছে না পুলিশ।

 

বিএস/

আর্কাইভ