 
              প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩০, ২০২৪, ০৪:৪৬ পিএম
 
                 
                            
              বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আজকে কোথাও আমাদের কালো পতাকা মিছিল করতে দেননি। দেশের মানুষ কিন্তু ভালোর ভালো, খারাপের খারাপ। সুতরাং মানুষের প্রতিবাদের ভাষা বোঝেন। পুলিশের লাঠি দিয়ে জনগণকে বেশি দিন দমিয়ে রাখতে পারবে না।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি) আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
গয়েশ্বর রায় বলেন, সরকার নাকি সংসদে বসবে। ভালো কথা বসেন। তবে আপনাদের কাজ আপনারা করেন। আমাদেরটা আমাদের করতে দিন।
বিএনপি নেতা বলেন, আমরা শান্তিপ্রিয় মায়ের শান্ত ছেলে, তবু শত্রু এলে অস্ত্র হাতে লড়তে জানি। ’৭১ সালে তার প্রমাণ।
তিনি বলেন, দেশের জনগণ তো এই সরকারের বিরুদ্ধে লাল পতাকা ও কালো পতাকা প্রদর্শন করছে।
তারা কিন্তু এই সরকারের পক্ষে কিছু বলছে না। সুতরাং লাজ-লজ্জা-ভয় এই তিন নয় তারাই সংসদে বসতে পারে।
গয়েশ্বর বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার শুধু একা নয়, কিছু দেশ, প্রজাতন্ত্রের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলিয়ে একটা সিন্ডিকেট দেশের ১৮ কোটি মানুষের ক্ষমতা হরণ করেছে।
তিনি বলেন, এই সরকারকে বলা যায় কর্তৃত্ববাদী। এই সরকারের ভাষা কখনো জনগণের জন্য হয় না। তাদের মায়া-মমতা থাকে না। তাদের লক্ষ্য থাকে দেশের অর্থনীতি লুটপাট করা। তাদের সঙ্গে পার্টনার থাকে পুলিশ প্রশাসন। আজকে সরকার তার প্রশাসনের লোকজনেরও দুর্নীতিবাজ বানিয়েছে। তারা কেউ দুর্নীতি না করলে চাকরি যায়।
তিনি আরও বলেন, গত ৭ জানুয়ারি দেশের ৭ শতাংশ লোক সরকারকে নাকি ভোট দিয়েছে। তাহলে দেশের ৯৩ শতাংশ মানুষ তাদের বিরুদ্ধে। তাদেরকে চান না। তাছাড়া ওই ৭ শতাংশ লোক হলো সরকারের সুবিধাভোগী। যাদেরকে কার্ড দিয়ে আবার তা জব্দ রেখেছে। এটা তো সমকামী নির্বাচন। শেখ হাসিনা ৭ পার্সেন্ট লোকের প্রধানমন্ত্রী আর তারেক রহমান ৯৩ শতাংশ মানুষের নেতা-এটা প্রমাণিত।
বিএসপিপির আহ্বায়ক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী সঞ্চালনা করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, প্রকৌশলীদের সংগঠন এ্যাবের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম রিজু, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ইউট্যাবের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, ডিইউজের সভাপতি মো. শহীদুল ইসলাম, সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামসুল আলম সেলিম, সাংস্কৃতিক জোটের রফিকুল ইসলাম, নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের জাহানারা সিদ্দিকা প্রমুখ।
 
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
      