
প্রকাশিত: জুন ২০, ২০২৫, ০৮:৪৭ পিএম
নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন গ্রহণের শেষ দিন ২২ জুন (রোববার)। ওই দিনেই ইসিতে নিবন্ধনের আবেদন জমা দেবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। শুক্রবার বিকালে দলীয় সাধারণ সভায় এনসিপির খসড়া গঠনতন্ত্র অনুমোদন শেষে এমন তথ্য জানানো হয়।
নিবন্ধন পেতে দলের পক্ষ থেকে ইসি নির্ধারিত বেশ কিছু শর্ত ইতোমধ্যে পূরণ করা হয়েছে।
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, ইসিতে নিবন্ধনের জন্য কোনো দলের কেন্দ্রীয় কমিটি, কেন্দ্রসহ অনূর্ধ্ব এক-তৃতীয়াংশ জেলা ও ন্যূনতম ১০০টি উপজেলা বা মেট্রোপলিটন থানায় অফিস থাকতে হয়। এছাড়া দলের গঠনতন্ত্রে কিছু বিষয় উল্লেখ থাকতে হয়। এনসিপি ইতোমধ্যে দেশের ৩৩টি জেলা ও ১২৭টি উপজেলায় সমন্বয় কমিটি গঠনে সক্ষম হয়েছে। তবে দলের গঠনতন্ত্র এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব বলেন, আমরা রোববারের মধ্যেই নিবন্ধনের জন্য আবেদন জমা দেব। ইতোমধ্যে খসড়া গঠনতন্ত্র চূড়ান্ত হয়েছে। অনুমোদনের জন্য এটি শুক্রবারের সাধারণ সভায় উপস্থাপন করা হবে।
এনসিপির প্রস্তাবিত খসড়া গঠনতন্ত্রে দলের শীর্ষ নেতা হিসেবে কাউকে তিন মেয়াদের বেশি না রাখা, তিন বছর পরপর কাউন্সিল আয়োজনসহ বেশকিছু বিষয় রাখা হয়েছে।
নতুন দলের ক্ষেত্রে ইসির নিবন্ধনের শর্ত হল, দলটির একটি সক্রিয় কেন্দ্রীয় কার্যালয় থাকতে হবে। কার্যকর কমিটি থাকতে হবে কমপক্ষে এক-তৃতীয়াংশ প্রশাসনিক জেলায়।
সদস্য হিসেবে অন্তত ১০০টি উপজেলা কিংবা মেট্রোপলিটন থানার কমপক্ষে ২০০ ভোটারের সমর্থনের নথিও দেখাতে হবে।
দলীয় প্যাডে দরখাস্তের সঙ্গে দলের গঠনতন্ত্র, নির্বাচনি ইশতেহার (যদি থাকে), দলের বিধিমালা (যদি থাকে), দলের লোগো ও দলীয় পতাকার ছবি, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সব সদস্যের নামের তালিকা, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও সর্বশেষ স্থিতি জমা দিতে হবে।
নিবন্ধন আবেদন করার সময় শেষ হচ্ছে রোববার। এ পর্যন্ত শ’খানেক দল আবেদন করেছে।
জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে ২৮ ফেব্রুয়ারি আত্মপ্রকাশ করে এনসিপি।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নিবন্ধন পেতে আগ্রহী রাজনৈতিক দলগুলোকে আবেদন করার জন্য গত ১০ মার্চ গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে ইসি। আবেদনের সময়সীমা ছিল ২০ এপ্রিল পর্যন্ত।
কিন্তু এনসিপিসহ কয়েকটি দলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সেই সময় দুই মাস বাড়িয়ে ২২ জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করে নির্বাচন কমিশন।