• ঢাকা সোমবার
    ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৬ আশ্বিন ১৪৩২

শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক, কী আলোচনা হলো

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৫, ১০:৩১ পিএম

শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক, কী আলোচনা হলো

সিটি নিউজ ডেস্ক

বিএনপি নেতাদের সঙ্গে ব্যবসায়ী নেতাদের বৈঠকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, এলডিসি উত্তরণ (গ্র্যাজুয়েশন) এবং শ্রমিক ইস্যুসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। 

রোববার বিকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে জানানো হয়- জাতীয় নির্বাচনের জন্য দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীরা অপেক্ষা করছেন।

বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। এতে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবুসহ ১১ জন ব্যবসায়ী প্রতিনিধি অংশ নেন। 

ব্যবসায়ীদের মধ্যে ছিলেন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি কামরান তানভিরুর রহমান, সাবেক সভাপতি তপন চৌধুরী ও নাসিম মনজুর, এফবিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি একে আজাদ, প্রাণ গ্রুপের প্রধান আহসান খান চৌধুরী, বিকেএমইএর সভাপতি এমএ হাতেম, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের (বিইএফ) সভাপতি ফজলে শামীম এহসান, বিজেএমইএর মহাসচিব রশিদ আহমেদ হোসাইনী, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকিন আহমেদ প্রমুখ।

বৈঠক শেষে বিএনপি নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নির্বাচনের বিষয়ে তো শুধু বাংলাদেশের ব্যবসায়ী নয়, বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও জাতীয় নির্বাচনের অপেক্ষায় আছেন। একেবারে পরিষ্কার ভাষায় তারা বলছেন, নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত তারা (বিনিয়োগকারী) সব সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছেন।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ বৈঠকে বসার পেছনে দুটি কারণ আছে। একটা হলো- আমাদের এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন, আরেকটা হলো আমাদের লেবার ইস্যু। দুটিই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ব্যবসা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে আমাদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। লেবার ইস্যু ও এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের সুবিধা ও অসুবিধাগুলো আমরা বিস্তারিত শুনেছি। আলোচনায় পরিষ্কার হয়েছে- এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনে যাওয়া মুহূর্তে বাংলাদেশের বর্তমান এবং আগামী দিনের ব্যবসা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করবে না। 

তিনি বলেন, বিগত দিনে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পরিপ্রেক্ষিতে দেওয়া পরিসংখ্যানগুলো (স্ট্যাটিস্টিক্স) প্রশ্নবিদ্ধ। তিনি বলেন, এ মুহূর্তে এলডিসি স্থগিত রাখার প্রয়োজনীয়তা আছে। এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীরাও মতামত দিয়েছেন।

বিজিএমইএর সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আমাদের কিছু উদ্বেগ আছে। এ মুহূর্তে আমাদের সবচেয়ে বড় উদ্বেগ (কনসার্ন) হলো এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন। আরেকটা হলো- শ্রম আইন সংশোধন (লেবার ল অ্যামেন্ডমেন্ট)। ১২৪টি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে আমরা ১২২টিতে একমত হয়েছি। দুটির বিষয়ে আমরা একমত হতে পারিনি। এর বাস্তবসম্মত কারণও আছে। 

তিনি আরও বলেন, ২০ জন শ্রমিক আবেদন করলেই ট্রেড ইউনিয়নের রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। একটা শিল্পে ৩ হাজার, ৫ হাজার বা ১০ হাজারের বেশি শ্রমিক থাকলে কি হবে। সেখানে মাত্র ২০ জনের ট্রেড ইউনিয়নে রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হলে অনেক রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হবে। কিন্তু একটা শিল্পে সর্বোচ্চ পাঁচটা রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হলেই ওই শিল্প টিকবে না। এটা আমাদের একেবারে তৃণমূল পর্যায়ের (রুট লেভেল) বাস্তব অভিজ্ঞতা। দ্বিতীয় হলো, যারা শ্রমের অধিকার নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করেন তারা পিছিয়ে যাবেন। ২০ জন নিয়ে ট্রেড ইউনিয়নের রেজিস্ট্রেশন দিলে দেখা যাবে- যারা ঝুট ব্যবসা করেন বা যাদের খারাপ উদ্দেশ্য আছে তারা রেজিস্ট্রেশন নেবে। ব্যাঙের ছাতার মতো রাতারাতি হাজার হাজার ট্রেড ইউনিয়ন হয়ে যাবে। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন আমরা স্থগিত (পোস্টপোন) করতে চাই না, সময় চাই।

রাজনীতি সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ