
প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২৫, ০৯:৩৪ পিএম
গণভোট প্রসঙ্গে এবার সরাসরি বিএনপির ওপর দায় চাপিয়েছে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট না হলে ফেব্রুয়ারির নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। দেশের কল্যাণের জন্য কিছু টাকা অতিরিক্ত খরচ হলেও গণভোট আগে করা ছাড়া উপায় নেই। কিন্তু প্যাঁচ লাগিয়ে রেখেছে। গণভোটে বিএনপি রাজি হলেও নির্বাচনের দিনই চেয়ে জটিলতা সৃষ্টি করছে। আসলে বিএনপি গণভোট চায়নি, জনগণের চাপে রাজি হয়েছে বলে সাফ জানিয়ে দেন জামায়াতের শীর্ষ এ নেতা।
বুধবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি।
ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেন, গণভোটে বিএনপি রাজি হলেও নির্বাচনের দিনই চেয়ে জটিলতা সৃষ্টি করছে। কারণ মৌলিক বিষয় গণভোট, তার সঙ্গে জাতীয় নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। আসলে বিএনপি গণভোট চায়নি, জনগণের চাপে রাজি হয়েছে। কিন্তু প্যাঁচ লাগিয়ে রেখেছে। জামায়াত চায় নভেম্বরের শেষে গণভোট হবে। পরে জাতীয় নির্বাচনের জন্য যথেষ্ট সময় থাকবে।
এক পর্যায়ে তিনি বলেন, আমরা গণভোটের বিষয়ে কোনো প্যাঁচগোজ বুঝি না। সরল কথা- জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট দিতে হবে।
নির্বাচনের দিন গণভোটের আইনগত জটিলতা তুলে ধরতে গিয়ে তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট না হলে ফেব্রুয়ারির নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। দেশের কল্যাণের জন্য কিছু টাকা অতিরিক্ত খরচ হলেও গণভোট আগে করা ছাড়া উপায় নেই।
নির্বাচনে লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরির জন্য প্রশাসনে প্রয়োজনীয় রদবদলের আহ্বান জানালে প্রধান উপদেষ্টা আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান জামায়াতের এই নেতা। তিনি বলেন, প্রশাসন, পুলিশের মধ্যে ৭০ শতাংশ লোক একটি নির্দিষ্ট দলের প্রতিনিধিত্ব করে। এদের দিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি এবং জুলাই সনদের ভিত্তিতে আগামী জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছি। সনদের সাংবিধানিক ভিত্তি দিতে সরকারের নির্বাহী আদেশের ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে তাহের বলেন, এ নিয়ে কোনো আলোচনা না হলেও জামায়াত মনে করে এই সরকারই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্ব পালন করতে পারে।