• ঢাকা রবিবার
    ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২

আধিপত্যবাদবিরোধী বৃহত্তর ঐক্যের প্রয়োজনে জামায়াত জোটে এনসিপি: নাহিদ

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৮, ২০২৫, ০৯:১৭ পিএম

আধিপত্যবাদবিরোধী বৃহত্তর ঐক্যের প্রয়োজনে জামায়াত জোটে এনসিপি: নাহিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ও বৃহত্তর ঐক্যের প্রয়োজনে জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা আট দলের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জোটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়াক নাহিদ ইসলাম। এছাড়াও আগামীকাল চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করা হবে বলেও জানান তিনি।

রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে এনসিপির রাজধানীর বাংলামোটরে অস্থায়ী কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন।

নাহিদ বলেন, জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা আট দলের সমঝোতায় এনসিপির যে প্রার্থী তারাই নমিনেশন ফর্ম জমা দেবেন। সারাদেশে আমরা একত্রে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো। এনসিপি এবং তাদের সহযোগী সংগঠন গণভোটের পক্ষে ক্যাম্পেইন করবে এবং যেখানে আমাদের প্রার্থী থাকবে না সেখানে অন্য দলের যাদের প্রার্থী থাকবে, এই সমঝোতায় তাদেরকে সহায়তা করবে। তাদের পক্ষে ক্যাম্পেইন করবে।

নির্বাচনী সমঝোতায় যাওয়ার কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, পূর্বের ঘোষণানুযায়ী ৩০০ আসনে প্রার্থী দিতে চেয়েছিলাম। সেভাবে প্রস্তুতি এবং পরিকল্পনা চলছিল। পরে সংস্কার প্রশ্নে আরও দুইটি দলের সঙ্গে আমাদের একটি রাজনৈতিক সমঝোতা হয়েছিল। তখন আমরা বলেছিলাম তিনটি দল মিলে একত্রে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো। কিন্তু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির প্রকাশ্যে গুলি করার মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট অনেক বেশি পরিবর্তন হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে বুঝতে পারছি, দেশে যে আধিপত্যবাদী আগ্রাসী শক্তি তারা এখনও কার্যকর রয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের পরাজিতরা এখনও নির্বাচন বানচালে চক্রান্ত করছে।

পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে আমরা দলীয় ফোরামে আলোচনা করেছি, এই মুহূর্তে নির্বাচন সুষ্ঠু ও প্রতিযোগিতাপূর্ণ করার জন্য এবং যাতে আধিপত্যবাদী কোনো শক্তি আমাদের এই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী অগ্রযাত্রাকে ঠেকাতে না পারে সেজন্য আমাদের বৃহত্তর ঐক্য প্রয়োজন। সেই তাগিদ থেকেই জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা ৮ দলের নির্বাচনী সমঝোতায় সম্মত হয়েছে। আমরা সকলে একত্রে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

নাহিদ বলেন, নির্বাচনী সমঝোতা একদিকে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার কৌশল, অন্যদিকে সংস্কার ও বিচার প্রশ্নে দলের অবস্থান বাস্তবায়নের অংশ। বর্তমান সংকট থেকে দেশকে রক্ষা, জুলাই প্রজন্ম ও গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী আকাঙ্ক্ষা অক্ষুণ্ন রাখতেই বৃহত্তর ঐক্যে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

আর্কাইভ