• ঢাকা রবিবার
    ১৯ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

অলিম্পিকে পতাকাবাহী আফগান নারী ক্রীড়াবিদ দেশ ছাড়লেন

প্রকাশিত: আগস্ট ২১, ২০২১, ০৫:৪২ পিএম

অলিম্পিকে পতাকাবাহী আফগান নারী ক্রীড়াবিদ দেশ ছাড়লেন

ক্রীড়া ডেস্ক

সশস্ত্র সংগঠন তালেবানের নিয়ন্ত্রণে প্রায় পুরো আফগানিস্তান। ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে কাবুল বিমানবন্দরে রানওয়েতে ঢুকে পড়ে কেউ কেউ বিমানের চাকা ডানা ধরেও দেশ ছাড়ার চেষ্টা করেন। এভাবে দেশ ছাড়তে গিয়ে বিমান থেকে পড়ে এক ফুটবলারের মৃত্যু হয়। এবার তালেবানের ভয়ে দেশ ছাড়লেন টোকিও অলিম্পিকে আফগানিস্তানের পতাকা বহনকারী নারী ক্রীড়াবিদ কামিয়া ইউসুফিও।

নিউইয়র্ক টাইমসে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আফগানিস্তান অলিম্পিক কমিটির মুখপাত্র আরেফ পেমান।

দেশ ছেড়ে ইরানে পাড়ি জমিয়েছেন কামিয়া ইউসুফিও। ১৯৯৬ সালে ইরানে জন্মগ্রহণ করেন কামিয়া। সে বছরই তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে।

মাত্র ১৩ বছর বয়সে স্প্রিন্টার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন কামিয়া। তখন অবশ্য খেলতেন উদ্বাস্তু হিসেবে, কারণ তখন তার কাছে ছিল না দেশের কোনো পরিচয়।

২০১৩ সালে দেশের বাইরে থাকা প্রতিভা খুঁজে বের করার কাজ শুরু করে আফগানিস্তান। এখানেই সবার নজর করেন কামিয়া। স্বপ্ন সত্যি করে ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিকে অংশ নেন। আফগানিস্তানের একমাত্র নারী অ্যাথলেট হিসেবে অলিম্পিকে অংশ নিয়েছিলেন। সবার প্রশংসা কুড়ান তিনি।

টোকিও অলিম্পিকে একধাপ এগিয়ে ছিলেন কামিয়া ইউসুফিও। অলিম্পিক মার্চ পাস্টে আফগানিস্তানের পতাকা বহন করেছিলেন কামিয়া। ১০০ মিটার স্প্রিন্টে হিট থেকে বাদ পড়লেও ১৩.২৯ সেকেন্ড সময় নিয়ে আফগান রেকর্ড ভাঙেন তিনি।

২০১৬ রিও অলিম্পিকে ১৪.০২ সেকেন্ড সময় নিয়ে আফগান রেকর্ড গড়েন কামিয়া ইউসুফিও। টোকিও অলিম্পিকে নিজেই নিজের রেকর্ড ভাঙেন তিনি।

১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকাকালীন দেশে সব ধরনের খেলাধুলা নিষিদ্ধ করেছিল তালেবান। তাই তো শঙ্কিত হয়ে দেশ ছেড়েছেন কামিয়া ইউসুফিও। ফিরে গেছেন জন্মস্থান ইরানে।

জেডআই/এম. জামান

আর্কাইভ