প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২১, ১২:১৫ পিএম
কলম্বিয়ান পপস্টার সাকিরার কারণে সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল জেরাড পিকে ও কোচ
পেপ গার্দিওলার মধ্যে। এমনটাই জানিয়েছেন পিকে নিজেই। তিনি
বলেন, ‘আমি যখন সাকিরার
সঙ্গে ডেটিং শুরু করি, তখন
পেপ গার্দিওলার সঙ্গে আমার সম্পর্কের অবনতি
ঘটে।’
সোমবার
(৭ সেপ্টেম্বর) স্পেনের একটি সংবাদমাধ্যমকে পিকে
বলেন, ‘ওই সময় পেপ
আমাকে দারুণ চাপে রেখেছিলেন। আমার
মনে হতো অনুশীলনে আমাকে
সব কিছু একেবারেই নিখুঁতভাবে
করতে হতো। এই সময়
বার্সা ছাড়ারও চিন্তা করেছিলাম। সেটি ছিল ২০১১-১২ মৌসুমে। গার্দিওলার
অধীনে ওই মৌসুমটিতে আমাকে
যথেষ্ট ভুগতে হয়েছে। তবে এখন আমাদের
মধ্যে বেশ ভালো সম্পর্ক
রয়েছে।’
ম্যানচেস্টার
ইউনাইটেড থেকে ২০০৮ সালে
ফের বার্সেলোনায় যোগ দেন পিকে।
পরবর্তী চার বছর কোচ
গার্দিওলার অধীনে লা লিগার তিনটির
পাশাপাশি চ্যাম্পিয়নস লিগের দুই শিরোপা জয়েরও
অংশীদার ছিলেন পিকে।
পিকে
বলেন, ‘গার্দিওলার শেষ বছরটিতে খেলোয়াড়
ও কোচের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটেছিল। এর নেপথ্যে বেশ
কয়েকটি কারণও ছিল। তার সঙ্গে
আমাদের মধ্যে একটি বিরোধ তৈরি
হয়ে গিয়েছিল। শুধু যে আমার
সঙ্গে হয়েছে তা নয়; গোটা
ড্রেসিংরুমেই সেটি ছড়িয়ে পড়েছিল।
হোসে মরিনহোর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আমাদের অনেকটা হতাশ করেছিল। পেপ
সব কিছুরই নিয়ন্ত্রণ করতে চাইতেন। যার
কারণে এমনটি ঘটেছিল।’
এক
দশক পরও বার্সেলোনায় টিকে
আছেন পিকে। এই সময় ইউরো
চ্যাম্পিয়নদের অনেক উত্থান-পতনেরও
সাক্ষী হয়ে আছেন তিনি।
সর্বশেষ দুই মৌসুমে বার্সেলোনা
শুধু কোপা দেল রের
শিরোপা ঘরে তুলতে সক্ষম
হয়েছে। আর্থিক দৈন্যতার কারণে লিওনেল মেসিকে ক্লাব ছাড়তে হয়েছে। বার্সা সভাপতি হুয়ান লাপোর্তার ভাষ্যমতে ক্লাবটির দেনা ১.৩৫
বিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। এই গ্রীষ্মে পারিশ্রমিক
বাবদ তাদের ১১০ শতাংশ রাজস্ব
ব্যয় করতে হয়েছে। মেসি
ও গ্রিজম্যানের বিদায়ের পর সেটি ৮০
শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
সবুজ/ডাকুয়া