• ঢাকা রবিবার
    ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

রোনালদোর রেকর্ডের দিনে ইউরোর শেষ ষোলতে পর্তুগাল

প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০২১, ০৬:৪২ এএম

রোনালদোর রেকর্ডের দিনে ইউরোর শেষ ষোলতে পর্তুগাল

ক্রীড়া ডেস্ক

রেকর্ড করতে ও ভাঙতে পছন্দ করেন পুর্তগালের অধিনায়ক ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। প্রথম ইউরোপিয়ান খেলোয়াড় হিসেবে আরও একটি রেকর্ডও গড়লেন সিআর৭। ইউরোর নক আউট পর্বে ফ্রান্সের বিপক্ষে দুই গোল করলেন রোনালদো। আর এতেই আন্তর্জাতিক ফুটবলে সবচেয়ে বেশি গোল করা আলী দাইয়ির ১০৯ গোলের রেকর্ড ছুঁয়ে ফেললেন এই স্ট্রাইকার। বিশ্বকাপ ও ইউরো মিলিয়ে এককভাবে ২০টি গোল রয়েছে তার ঝুলিতে। যা আগে ছিল জার্মানির ক্লোজার, ১৯টি।

হাঙ্গেরির বুদাপেস্টের ফেরেন্স পুসকাস স্টেডিয়ামে নামে পুর্তগাল ও ফ্রান্স। গ্রুপ 'এফ' এর শেষ ম্যচে দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন মাঠে নেমেছিল। গোটা ম্যাচে ছিল টানটান উত্তেজনা। সমান তালে লড়েছে দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে জমে উঠে খেলা। বাঁচামরার লড়াইয়ে ফ্রান্সের বিপক্ষে অসাধারণ ফুটবলই উপহার দিয়েছেন রোনালদোরা। এর ফলও তাঁরা পেয়ে যান দ্রুত।

ম্যাচের ২৭ মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোলা পায় পুর্তগাল। পেনাল্টি থেকে এ গোল করেন পর্তুগিজ অধিনায়ক।

ভেসে আসা বল পাঞ্চ করে বিপদমুক্ত করতে যান ফ্রান্সের গোলকিপার উগো লরিস। কিন্তু তাঁর পাঞ্চ গিয়ে লাগে হেড নিতে যাওয়া পর্তুগালের দানিলোর মাথায়। রেফারি সঙ্গেই সঙ্গেই পেনাল্টির বাঁশি বাজান। ফ্রান্সের খেলোয়াড়রা প্রতিবাদ করলেও তা ধোপে টেকেনি। ভিএআর দেখে রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন। পেনাল্টি থেকে গোল করে পর্তুগালকে এগিয়ে দেন রোনালদো।

পেনাল্টিতে পিছিয়ে পড়া ফ্রান্স সমতায় ফেরে পেনাল্টি থেকেই। ৪৪ মিনিটে বক্সে ঢোকার মুখে কিলিয়ান এমবাপ্পেকে ফাউল করেন পর্তুগালের এক ডিফেন্ডার। পেনাল্টি থেকে ফ্রান্সকে সমতায় রোনালদোর সাবেক সহ খেলোয়াড় করিম বেনজেমা।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে পর্তুগালের রক্ষণে চাপ তৈরি করে খেলতে থাকে ফ্রান্স। করিম বেনজেমার একটি গোলও বাতিল হয় তখন। তবে ৪৭ মিনিটে ফ্রান্স এগিয়ে যায় বেনজেমার আরেক গোলে।

এরপরই পর্তুগাল শিবিরে হতাশা নেমে আসে। কিন্তু বিশ্বের সেরা স্ট্রাইকার রোনালদো সবাইকে মাথা ঠাণ্ডা করে মরিয়া হয়ে খেলার পরামর্শ দেন। এর ফলটাও তারা পেয়ে যায় ম্যাচের ৬০ মিনিটে। বক্সের মধ্য থেকে রোনালদোর একটি ক্রস থেকে বল হাতে লাগে ফ্রান্সের এক ডিফেন্ডারের। পেনাল্টি থেকে পর্তুগালকে শেষ ষোলোতে আর দাইয়িকে ছুঁয়ে ফেলা গোলটি করেন রোনালদো।

শেষ পর্যন্ত ২-২ গলে ড্র হয় ম্যাচটি। তবে ড্র হলেও দ্বিতীয় রাউন্ডে পৌঁছে গিয়েছে বর্তমান ইউরো চ্যাম্পিয়নরা। ৩ ম্যাচে ১ জয় ও ২ ড্রয়ে ৫ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ 'ই' সেরা হয়েছে ফ্রান্স। আর সমান ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় হয়েছে পুর্তগাল। একই গ্রুপ থেকে নকআউটে যাওয়া অন্য দল জার্মানি।

পুরো ম্যাচে সমান ৫টি করে শট লক্ষ্যে রেখেছে দুই দল। ৫৩ শতাংশ সময় নিজেদের পায়ে বল রাখে এমবাপ্পেরা। তবে হলুদ কার্ডও বেশি দেখেছে ফ্রান্স। দলটির চার খেলোয়াড় হলুদ কার্ড দেখেছে যেখানে পুর্তগালের জুলিতে শূন্য কার্ড। গোটা ম্যাচে কর্নার হয়েছে মাত্র একটি, যা পেয়েছে ফ্রান্স।

মামুন

আর্কাইভ