প্রকাশিত: জুলাই ১৯, ২০২১, ০২:৫৬ পিএম
করোনাভাইরাসের কারণে বেশির ভাগ জাপানির ইচ্ছা
তাদের দেশে অলিম্পিক আসর
না হোক। কিন্তু দেশটির
সরকার বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই প্রতিযোগিতা আয়োজনে
অনড়। এরই মধ্যে সব
প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে অয়োজকেরা। আগামী ২৩ জুলাই পর্দা
উঠতে যাচ্ছে টোকিও অলিম্পিক গেমসের। কিন্তু তার আগেই আসছে
একের পর এক দুঃসংবাদ।
সুরক্ষা বলয় ভেদ করে
অলিম্পিক ভিলেজে ঢুকে পড়েছে করোনা।
এবার
দক্ষিণ আফ্রিকা অলিম্পিক দলের দুই ফুটবলারসহ
তিনজনের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। দলের পক্ষ থেকে
জানানো হয়েছে ওই দুই ফুটবলার
হলেন থাবিসো মোনিয়ান এবং কামোহেলো মাহলাতসি।
এ ছাড়াও রয়েছেন ফুটবল দলের ভিডিও বিশ্লেষক
মারিয়ো মাসহা। এরা সবাই জাপানে
পৌঁছে যান। অবস্থান নিয়েছেন
গেমস ভিলেজেই।
বৃহস্পতিবার
(২২ জুলাই) আয়োজক জাপানের বিপক্ষে অলিম্পিক ফুটবল অভিযান শুরু করার কথা
দক্ষিণ আফ্রিকার। তার আগে করোনা
আক্রান্ত দুই খেলোয়াড়কে নিয়ে
চাপে পড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা দল। পুরো দলকেই
রাখা হয়েছে আইসোলেশনে।
দক্ষিণ
আফ্রিকা দল এখন আর
অনুশীলন করতে পারবে না।
রোববারই প্রথম অনুশীলনে নামার কথা ছিল দক্ষিণ
আফ্রিকার। তাদের গ্রুপে জাপান ছাড়াও ফ্রান্স এবং মেক্সিকো রয়েছে।
কঠিন চ্যালেঞ্জের আগে অনুশীলন না
করতে পারায় চাপে রয়েছে তারা।
দক্ষিণ
আফ্রিকা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে রোববার
(১৮ জুলাই) এক বিবৃতি জারি
করা হয়েছে। সেখানে দলের ম্যানেজার ম্যাক্সোনিসি
সিবম বলেন, ‘আমাদের দলের তিনজনের করোনা
পরীক্ষার ফল পজিটিভ। এদের
মধ্যে দুজন ফুটবলার। তারা
জানায় তাদের জ্বর এসেছে। তাপমাত্রা
খুব বেশি ছিল। এরপরেই
তাদের কোভিডের ফল পজিটিভ আসে।’
তিনি
আরও জানান, ‘এখানে প্রতিদিনই স্ক্রিনিং হয় ..., মাশা এবং মনায়ানে
উচ্চ তাপমাত্রা এবং ধীরে ধীরে
লালা পরীক্ষা করা হয়েছিল এবং
এরপর নাজাল পরীক্ষা করা হয়েছিল এবং
দুর্ভাগ্যক্রমে তাদেরকে কোভিড-১৯ পজিটিভ পাওয়া
যায়। কামোহেলো মাহলাতসি সর্বশেষ খেলোয়াড় যার মধ্যে এই
ভাইরাস পাওয়া গেছে।’
জেডআই/এএমকে