• ঢাকা রবিবার
    ১৯ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

অলিম্পিক স্বর্ণপদকে বর্জ্য!

প্রকাশিত: জুলাই ২৮, ২০২১, ১২:৫৪ পিএম

অলিম্পিক স্বর্ণপদকে বর্জ্য!

ক্রীড়া ডেস্ক

নামে স্বর্ণপদক হলেও, সে পদকের পুরোটা যে স্বর্ণ নয়! শুরুর দিকে অবশ্য স্বর্ণ দিয়েই দেয়া হতো অলিম্পিকের পদকে। সেই প্রথা শেষবার দেখা গেছে ১৯১২ সালে। ওই বছর গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের আসর বসেছিল স্টকহোমে। পরের বছর থেকেই, চকচক করলেই স্বর্ণ হয় না, প্রবাদটাকে আক্ষরিক রূপ দেয়ার দায়িত্ব নেয় অলিম্পিক কমিটি। 

তবে স্বর্ণ যে একেবারেই নেই, বিষয়টা মোটেও তা নয়। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি নির্ধারিত নিয়মানুসারে স্বর্ণপদকে ১ গ্রাম সোনা রাখতেই হয়। এই নিয়মটা কঠোরভাবে মানা হচ্ছে সেই ১৯১২ সাল থেকেই। সেই পদকটা দেখতে কেমন, তা নিয়েও হয়তো কৌতুহল জাগতে পারে আপনার মনে? 

পদকটির এক পাশে থাকে গ্রিকদের বিজয়ের দেবী নাইকির ছবি। সঙ্গে থাকবে ১৮৯৬ সালে অলিম্পিকের প্রথম ভেন্যু ঐতিহাসিক প্যানাথেনাইক স্টেডিয়ামের ছবিও। অন্য পাশে থাকবে অলিম্পিকের পাঁচ বৃত্তের আইকনিক সে লোগো। প্রতিবার এ আদলে গড়া পদকই শোভা পায় বিজয়ীদের গলায়।

তবে প্রতিবার শুধু বদলে যায় পদকের গায়ে খোদাই করা অলিম্পিকের আয়োজক শহরের নাম। ফেলে বৈদ্যুতিক জিনিসপত্র দিয়ে পদক বানানোয় এবারের পদক বেশ কিছু ক্ষেত্রে অন্যান্য বছরের চেয়ে ভিন্ন।

এমন সংবাদ প্রকাশ করেছে স্থানীয় কিছু সংবাদ মাধ্যম। সেখানে বলা হয়, প্রথমে বৈদ্যুতিক বর্জ্যপদার্থ সংগ্রহ করে গলানো হয়েছে। তারপর ক্ষতিকর উপাদানগুলো ফেলে দিয়ে বাকিটুকু দিয়েই তৈরি হয়েছে টোকিও অলিম্পিকের পদক।

এর পেছনে মূলত কাজ করছে আরও একটা উদ্দেশ্য। দেশের নাগরিকদের বৈদ্যুতিক বর্জ্য নিজ উদ্যোগে সরকারের হাতে তুলে দিতে উদ্বুদ্ধ করতেই আয়োজকদের এই প্রয়াস।

পদক নির্মাতাদের দাবি, এই পদকের চকচকে রঙটা ম্লান হবে না কখনোই। আর এ বিষয়টি প্রতিযোগির অম্লান দক্ষতারই একটা নির্দেশক। 

টিআর/নির্জন

আর্কাইভ