প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০২১, ০৪:০৯ পিএম
যেকোনো ক্রীড়াবিদের কাছেই অলিম্পিক গেমসে খেলা একটি স্বপ্ন।
সেই সুযোগ পেয়েছিলেন ফেথি নুরিন। কিন্তু
মুসলিম ভাতৃত্ববোধের অনন্য নজির স্থাপন করে
নিজের স্বপ্ন বিসর্জন দিয়েছেন আলজেরিয়ান এই জুডোকা। ইসরায়েলের
প্রতিপক্ষকে বয়কট করে নিজের
নাম প্রত্যাহার করেছেন তিনি। এমন ত্যাগে দেশে
ফিরে বীরের মর্যাদা পেয়েছেন নুরিন।
টোকিও
অলিম্পিকে ফিলিস্তিনের প্রতি নিজের স্পষ্ট সমর্থনের কথা জানিয়ে, জুডো
ইভেন্টে ইসরায়েলের প্রতিপক্ষকে বয়কট করেছিলেন ফেথি
নুরিন। শুধু এবার নয়,
এর আগেও এমন কাণ্ড
ঘটিয়েছিলেন তিনি। তার দেখাদেখি ইসরায়েলের
তোহারের বুটবুলের বিপক্ষে খেলেননি সুদানের জুডোকা মোহাম্মদ আব্দুল রাসুলও।
এমন
সিদ্ধান্ত নিয়ে অলিম্পিক থেকে
নিজের নাম প্রত্যাহার করে
নিয়ে দেশ আলজেরিয়ায় ফেরার
পর দেশবাসীর ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন নুরিন। শুধু যে দেশের
সাধারণ জনগণ তা নয়,
দেশের প্রেসিডেন্টও শুভেচ্ছা জানান নুরিনকে। যেখানে যাচ্ছেন সেখানেই পাচ্ছেন বীরের সম্মাননা।
জুডোতে
৭৩ কেজি শ্রেণিতে প্রথম
রাউন্ডে জিতলে, দ্বিতীয় রাউন্ডে তার প্রতিপক্ষ হিসেবে
আসতো ইসরায়েলের তোহার বুটবুলের নাম। ইসরায়েলের প্রতিপক্ষ
দেখেই না খেলার সিদ্ধান্ত
নেন নুরিন। নির্যাতিত ফিলিস্তিনের প্রতি তার এ সমর্থন
প্রশংসা কুড়িয়েছে সকলের।
নিজ
দেশে ফিরে নুরিন বলেন,
‘যখন দেখলাম ওই জিওনিস্ট রাজ্যের
খেলোয়াড়ের সঙ্গে ড্রতে আমাকে একই সঙ্গে রাখা
হয়েছে, অবাক হয়ে গিয়েছিলাম।
এমন কিছুর আশা আমি করিনি।
এটা দেখার পর না খেলার
সিদ্ধান্ত নিতে আমাকে দ্বিতীয়বার
ভাবতে হয়নি।’
ইসরায়েলি
প্রতিপক্ষকে বয়কট করায় আন্তর্জাতিক
জুডো ফেডারেশনের সাময়িক নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন ফেথি নুরিন ও
তার কোচ। তবে এতে
তিনি হতাশ নন। বরং
নিজের নেয়া সিদ্ধান্তই সঠিক
ছিল বলে মনে করেন
তিনি।
নুরিন
আরও বলেন, ‘কোচের সঙ্গে মিলেই আমি সিদ্ধান্তটা নিয়েছি।
এই সিদ্ধান্ত নিয়ে গর্ব হয়
আমার। এটি আমাকে, আমার
পরিবারকে, আলজেরিয়ার মানুষ আর আলজেরিয়া পুরো
দেশটাকে সম্মান এনে দিয়েছে।’
জেডআই/এএমকে