 
              প্রকাশিত: অক্টোবর ১০, ২০২২, ১০:০৩ এএম
 
                 
                            
              কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি:
কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী কবিতার একশ’ বছর পূর্ণ হয়েছে। এই সময়টিকে স্মরণে রেখে বিদ্রোহী কবির ৩০ টি কবিতা মণিপুরী ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে। যার ফলে মণিপুরের লোকেরা তাদের ভাষায় পড়তে পারবেন কবি নজরুলের কবিতা।
কাজী নজরুল ইসলামের সঞ্চিতা কাব্য সংকলনে ৭৮টি কবিতা রয়েছে। তার মধ্য থেকে বিদ্রোহী, পথহারা, অভিশাপ, পিছু ডাক, কবি রাণী, বিজয়িনী, বিদায় বেলায়, দূরের বন্ধু, সন্ধ্যা তারা, আপন পিয়ালী, কান্ডারি হুশিয়ার, সব্যসাচী, গোপন প্রিয়া, অনামিকা, রাজভিখারী, সাম্যবাদী, সর্বহারা, দারিদ্র, ঈশ্বরসহ ৩০টি অনুবাদ মুণপূরী ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে।
এই অনুবাদের কাজটি করেছেন ভারতের মণিপুর রাজ্যের শিক্ষাবিদ যমুনা লরেইঞ্জাম। অনুবাদ করা বইটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘নজরুল ইসলাম জি সেরাং খারা’। মণিপুর রাজ্যের থোওবাল জেলার ওয়ানজিংয়ের খরিরল সেংলেন এর একটি হলে শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে বইটির মোড়ক উম্মোচন করা হয়।
এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মণিপুরী ল্যাঙ্গুয়েজ এডভাইজরি কমিটি ও সাহিত্য একাডেমী নিউ দিল্লির আহবায়ক নংমাইথেন কিরণকুমার। বিশেষ অতিথি ছিলেন খরিরল।
এতে সভাপতিত্ব করেন সন্দোকলাপ ওয়ানজিং সভাপতি তংব্রাম বাবুলাল। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, মণিপুর সাহিত্য পরিষদ থোওবাল জেলার সভাপতি মোইরাংথেম রাজেন্দ্র, সাহিত্য ও কথালাপ টেন্থ এর সভাপতি কার্তিক মাইবা এবং নিনগল খুত মণিপুর ওয়ানজিংয়ের সভাপতি খুন্দোগাম গুণমানি।
অনুবাদক যমুনা লরেঞ্জাম সিটি নিউজ ঢাকার কলকাতা প্রতিনিধিকে বলেন, নজরুলের কবিতা তিনি ছোটবেলায় আসামের স্কুলে পড়েছেন। এরপর থেকেই তিনি নজরুলের সৃষ্টি সমগ্রের প্রতি আকৃষ্ট হন।
মণিপুর ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের ৭টি রাজ্যের একটি। ৪০ লক্ষাধিক জনসংখ্যার এই রাজ্যের বেশিরভাগ মানুষ মণিপুরী ভাষায় কথা বলে। তাদের পাঠ্য বই মণিপুরী ভাষায় মুদ্রিত হয়। ১৯৯২ সাল থেকে মণিপুরী ভাষা ওই রাজ্যের জাতীয় ভাষা। মণিপুরে প্রায় ৮০ ভাগ মানুষ হিন্দু ও খৃষ্টান ধর্মাবলম্বী। প্রায় ১০% মুসলিম এবং ১০% বৌদ্ধ ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী ।
শিক্ষাবিদ যমুনা লরেঞ্জাম ১৯৬০ সালে আসামের কাছাড় জেলার চাঁদপুরে জন্মগ্রহন করেন। তিনি বৈবাহিক সূত্রে মুণিপুরের অধিবাসী। সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে সম্প্রতি অবসর নিয়েছেন। অবসরের পর তিনি নজরুল সাহিত্য নিয়ে সময় কাটান।
যমুনা লরেইঞ্জাম সম্প্রতি বাংলা ভাষা ও নজরুল সাহিত্য চর্চার জন্য এনআরবি নিউজ উনিশে সম্মাননা পেয়েছেন। ১৯৬১ সালের ১৯মে আসামের শিলচরে বাংলা ভাষার জন্য শহীদ ১১ ভাষা সংগ্রামীর স্মরণে এনআরবি নিউজ উনিশে সম্মাননা প্রবর্তন করে।
এসএএস
 
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
      