• ঢাকা মঙ্গলবার
    ২১ মে, ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

ঘুরে দাঁড়াচ্ছে সৈয়দপুরের শুঁটকিপল্লী

প্রকাশিত: মে ৯, ২০২৩, ১১:৪৪ পিএম

ঘুরে দাঁড়াচ্ছে সৈয়দপুরের শুঁটকিপল্লী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শুঁটকির সরবরাহ কমায় নেই আগের মতো বেচাকেনা। এতে অনেকটাই জৌলুস হারিয়েছে উত্তরের অন্যতম মোকাম সৈয়দপুরের শুঁটকির বন্দর। আর মোকামে সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় পচে নষ্ট হচ্ছে অবিক্রিত পণ্য।

নীলফামারীর সৈয়দপুরের শুঁটকির বন্দর। একসময় সারাদেশ থেকে এখানে আসতো বিভিন্ন প্রজাতির মাছের শুঁটকি। এক সময়ের কর্মব্যস্ত এই বন্দরে প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকার শুঁটকি বেচা কেনা হলেও বর্তমানে তা নেমে এসেছে অর্ধেকে। পাশাপাশি পুটি শুঁটকির সরবরাহ ও রফতানিও কমতে শুরু করেছে।

মূলত দিন দিন বৃষ্টিপাত কমে আসায় শুকিয়ে গেছে নদী-নালা, খাল-বিলসহ সব ধরনের জলাশয়। আগের মতো ধরা পড়ছে না মাছ। তাই কমেছে শুঁটকি তৈরি। এতে সরবরাহ নেমে এসেছে অর্ধেকে।
ব্যবসায়ীরা জানান, বৈরি আবহাওয়ার কারণে ব্যবসা আগের মতো নেই। দিন দিন কমে যাচ্ছে শুঁটকি তৈরির পরিমাণ। এতে গুণতে হচ্ছে লোকসান।
 
অন্যদিকে সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় অবিক্রিত শুঁটকি পঁচে নষ্ট হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। বন্দরকে ঘিরে এখানে হিমাগার গড়ে না ওঠায় প্রতি বছরই অবিক্রিত বা মজুত শুঁটকিতে পচন ধরার কারণে কম দামে মুরগির খাবার তৈরি করা হচ্ছে।

এতে বৈরী আবহাওয়া, পুটি শুঁটকি সরবরাহ ও রফতানি কমাসহ পচনের কারণে ব্যবসায়ীরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তেমনি এ বন্দরের সঙ্গে জড়িত কয়েকশ শ্রমিক কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে জানান শুঁটকি মাছ আড়তদার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন।


তিনি বলেন, পুটি শুঁটকি রফতানি কমে যাওয়ায় রফতানিকারকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবে হিমাগার না থাকায় বন্দরের ব্যবসায়ীরাই ব্যাপক আকারে প্রতি বছরই আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।

শুঁটকি বন্দরে ১৪টি আড়ৎ ও ৭০টি পাইকারি ও খুচরা দোকান রয়েছে। আর এসব প্রতিষ্ঠানে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন প্রায় ৪০০ শ্রমিক।


এডিএস/

আর্কাইভ