• ঢাকা শুক্রবার
    ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ভারত থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরে এলো ১০৯৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজ

প্রকাশিত: জুন ৬, ২০২৩, ০৫:৫৮ পিএম

ভারত থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরে এলো ১০৯৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজ

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়েও পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। সোমবার (৫ জুন) বিকেলে ভারত থেকে পেঁয়াজভর্তি ৫৭টি ট্রাক প্রবেশ করেছে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে।

প্রথম দিনে ৫৭টি ট্রাকে পেঁয়াজ আসে ১ হাজার ৯৭ মেট্রিক টন। এর আগে সবশেষ গত ১৫ মার্চ ভারত থেকে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করা হৃয় দেশে।

মঙ্গলবার (৬ জুন) সকালে সোনামসজিদ স্থলবন্দর কাস্টমসের সহকারী কমিশনার প্রভাত কুমার সিংহ পেঁয়াজ আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এরই মধ্যে সোমবার সন্ধ্যায় ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে ৭৬ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। নানা প্রক্রিয়া শেষে রাত ১০টায় শুরু হয় খালাস। সরকার আইপি উন্মুক্ত করায় আড়াই মাস পর ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেন ব্যবসায়ীরা।

এদিকে আমদানির পর চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে আড়ত থেকে বের হচ্ছে পেঁয়াজ। এক দিনেই মণপ্রতি কমেছে ৫০০ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজ বাজারে ঢুকলে দাম আরও কমবে বলে আশা ব্যবসায়ীদের। সোমবার সকাল থেকে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে ট্রাকে ট্রাকে পেঁয়াজ ঢুকতে শুরু করে। বস্তায় বস্তায় পেঁয়াজ ভর্তি প্রতি আড়তেই দেখা মিলেছে। সরকার সোমবার থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়ার বিজ্ঞপ্তির পরপরই ফরিদপুর, পাবনা, কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষক পর্যায় থেকে সরবরাহ বাড়তে থাকে রোববার সন্ধ্যা থেকে। সেই সঙ্গে দাম কমে কেজিতে ২০-২৫ টাকা পর্যন্ত।

গত রোববার বিকেল পর্যন্ত যেখানে খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের পাইকারি দর ছিল ৯২-৯৫ টাকা। সেখানে আইপি ইস্যুর সিদ্ধান্তে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে সোমবার সন্ধ্যায় সেই পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হয় ৭০-৭২ টাকায়।

আমদানি বন্ধ হওয়ার আগে পাইকারি বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ছিল ২৫ থেকে ৩০ টাকা। এখনও ভারতীয় পেঁয়াজের বুকিং দর আগের মতোই আছে। তাই ভারতীয় পেঁয়াজ আসার সঙ্গে সঙ্গে পেঁয়াজের দাম আরও সহনীয় পর্যায়ে আসবে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা।

গত রোববার (৪ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কৃষি মন্ত্রণালয় জানায়, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোমবার (৫ জুন) থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হবে। একই দিন ঢাকার আগারগাঁওয়ে পর্যটন ভবনে এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, ‘পেঁয়াজ আমদানির বিষয়টি আমাদের জন্য উভয়সংকটের মতো। পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিলে দাম অনেক কমে যায়, কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়; পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন তারা। আর আমদানি না করলে দাম বেড়ে যায়, ভোক্তাদের কষ্ট হয়। সে জন্য সবসময়ই আমরা চাষি, উৎপাদক ও ভোক্তাসহ সবার স্বার্থ বিবেচনা করেই আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি।’

কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, গত ২ বছরে দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বেড়েছে ১০ লাখ টন। দুই বছরে আগে যেখানে উৎপাদন হতো ২৫ লাখ টনের মতো, এখন উৎপাদন হচ্ছে ৩৫ লাখ টনের মতো। পেঁয়াজের সংগ্রহ থেকে শুরু করে ভোক্তা পর্যন্ত পণ্যটি পৌঁছাতে বিভিন্ন ধাপে অপচয় ২৫-৩০% বাদে গত বছর নিট উৎপাদন হয়েছে ২৪ দশমিক ৫৩ লাখ টন। বাংলাদেশে পেঁয়াজের চাহিদা বছরে প্রায় ২৮ থেকে ৩০ লাখ টন। এ চাহিদা মেটাতে ২০২১-২২ অর্থ বছরে ৬ দশমিক ৬৫ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়।

 

জেকেএস/

আর্কাইভ