প্রকাশিত: জুন ১২, ২০২৪, ১০:০৯ এএম
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাজেটে ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিদের ধরার কোনো উদ্যোগ নেই। অথচ আশা করেছিলাম অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় বলবেন, ‘ঋণখেলাপিদের আর কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের এবার শক্ত হাতে ধরা হবে। ঋণ ফেরত না দিলে তাদের সব সুযোগ-সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ব্যাংক খাতে এখন প্রধান সমস্যা সুশাসনের অভাব। এ কারণে জালজালিয়তিসহ নানা অনিয়ম হচ্ছে। অনিয়মের মাধ্যমে যেসব ঋণ দেওয়া হচ্ছে, এর সবই খেলাপিতে পরিণত হচ্ছে। খেলাপি ঋণ এখন কোনো কোনো ব্যবসায়ীর কাছে ব্যবসার ‘রোল মডেল’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন ব্যাংকের জন্য কঠিন সময়। এ সময়ে শক্ত সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে ব্যাংক খাতের অরাজকতা থামবে না।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) সাবেক মহাপরিচালক ও অর্থনীতি সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, খেলাপি ঋণের যে হিসাব বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশ করেছে, এটা প্রকৃত তথ্য নয়। খেলাপি ঋণ এর চেয়েও বেশি। অর্থঋণ আদালত, হাইকোর্ট, সুপ্রিমকোর্টের মামলাগুলোয় আটকে থাকা খেলাপি ঋণকে জাস্টিফাইড ঋণে অন্তর্ভুক্ত করা যায় না। ৬৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ অবলোপন করা হয়েছে। এগুলো পাঁচ বছরের পুরোনো মন্দঋণ, সেটা কিন্তু খেলাপি ঋণে অন্তর্ভুক্ত করা হয় না। এ দুটিকে যোগ করলে খেলাপি ঋণ ৫ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
এ অর্থনীতিবিদ ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, সরকার যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর না হয় এবং একটা স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে খেলাপি ঋণ আদায়ের ব্যবস্থা না করে, তাহলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে না। বরং সমস্যা আরও প্রকট হবে।