
প্রকাশিত: মে ২৬, ২০২৫, ০৫:৪২ পিএম
২৯ মে’র মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বর্তমান চেয়ারম্যানকে অপসারণ করার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।
সোমবার (২৬ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দিয়েছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।
এর আগে, রোববার (২৫ মে) কর্মবিরতির কর্মসূচি প্রত্যাহার করে ঘোষিত এনবিআর চেয়ারম্যান অপসারণে লাগাতার অসহযোগ কর্মসূচি যথারীতি অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছিল তারা। আজ আবারও সেই দাবিসহ আল্টিমেটাম দিল এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন যুগ্ম কর কমিশনার মোনালিসা শাহরীন সুস্মিতা, উপকমিশনার (দ্বিতীয় সচিব) শাহদাৎ জামিল শাওন ও উপ কর কমিশনার (দ্বিতীয় সচিব) রইসুন নেসা।
সংবাদ সম্মেলন বলা হয়, আগামী তিন দিনের মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বর্তমান চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে। তার প্রতি বিশ্বাস ও আস্থার চরম সংকট তৈরি হওয়ায় এ দাবি করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ঐক্য পরিষদ জানায়, এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান অসহযোগিতা, নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচির ব্যাপকতা ও যৌক্তিকতার বিষয়ে সরকারের নীতিনির্ধারকদের সঠিক তথ্য না দিয়ে আড়াল করেছেন। এ সময় তার অপসারণ দাবি করা হয়। এতদিন তার অপসারণের দাবি থাকলেও কোনো নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হয়নি, এবারই প্রথমবার সময় দেওয়া হলো।
এ ছাড়াও আগের ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী এনবিআর চেয়ারম্যানের সঙ্গে লাগাতার অসহযোগ কর্মসূচি যথারীতি অব্যাহত থাকবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আমরা আশা করি, রাষ্ট্র ও জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে সরকার কর-রাজস্ব নীতি প্রণয়ন, কর-রাজস্ব আহরণ ও ব্যবস্থাপনায় জ্ঞান, দক্ষতা ও বাস্তব কর্ম-অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একজন কর্মকর্তাকে চেয়ারম্যান পদে পূর্ণকালীন দায়িত্ব প্রদান করবে।
এতে কয়েকদিনের কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণের মাধ্যমে কর্মসূচিকে সফল করায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও এর অধীন টিনার, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের দপ্তরের গ্রেড-২০ থেকে শুরু করে গ্রেড-১ পর্যন্ত সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, রিটায়ার্ড বিসিএস কাস্টমস ও ভ্যাট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন (আরব্যেকডে), রিটায়ার্ড ট্যাক্সেস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন (রেটোয়া), বাংলাদেশ কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট এক্সিকিউটিভ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাকায়েত), কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট মিনিস্টেরিয়াল অ্যাসোসিয়েশন (বাকাএম), বাংলাদেশ কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী সমিতি (বাকাস), বাংলাদেশ মাকসেস ইন্সপেক্টরস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ জাক্সেস এমপ্লয়িজ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ অ্যাক্সেস ১৭-২০ তম গ্রেড সরকারি কর্মচারী ইউনিয়ন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্মচারী কল্যাণ সমিতি, স্টেনোটাইপিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, স্টেনোগ্রাফার ব্যক্তিগত সহকারী অ্যাসোসিয়েশন, গাড়িচালক সমিতিসহ অন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানানো হয়।