• ঢাকা সোমবার
    ৩০ জুন, ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২

অর্থবছরের শেষ দিনে ৩,৬০,৯২০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায়

প্রকাশিত: জুন ৩০, ২০২৫, ০৩:৫৫ পিএম

অর্থবছরের শেষ দিনে ৩,৬০,৯২০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায়

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অর্থবছরের শেষদিনে সকাল ১০ টা পর্যন্ত ৩ লাখ ৬০ হাজার ৯২০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে বলে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর)। সোমবার (৩০ জুন) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।

আবদুর রহমান খান বলেন, কাস্টমস হাউজগুলো রোববার বিকাল থেকেই কাজ শুরু করছে। তারা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছেন। এর ফলে সবার মাঝে স্বস্তি বিরাজ করছে। বিশেষ করে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ও নীতি নির্ধারকদের মধ্যে। সকাল থেকেই আমাদের সব দপ্তরে কাজ শুরু হয়েছে। সম্পূর্ণ উপস্থিতি আছে। সব কাস্টমস হাউজ, আইসিডি, ভ্যাট ও কর অফিস সবাই কাজ করছে।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, গতবারের চেয়ে রাজস্ব আদায় বেশি হবে এটা নিশ্চিত। কিন্তু যেরকম আশা করছিলাম, একটু তো হোঁচট খেয়েছি এই কয়দিনের কাজকর্মে।

তিনি বলেন, আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত আমাদের রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৯২২ কোটি টাকা। আজ যেটা ট্রেজারিতে জমা হবে সেটার রিপোর্ট কাল পাব। এর বাইরে সরকারি প্রকল্পের কর বা মূসকের বিল থাকে; যেটা আদায় হয়, সেটা সমন্বয় করতে কিছুটা সময় লাগবে। নরমালি জুন ক্লোজিং-এ একটু সময় লাগে। ২-৩ সপ্তাহ লেগে যাবে ফাইনাল ফিগার আসতে।

এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, এখন আমাদের রেভিনিউ রিপোর্টিংটা সিস্টেমেটিক। আমরা ম্যানুয়াল রিপোর্ট করি না। আইবাসে আমরা আদায়ের রিপোর্ট করি।

তিনি বলেন, যেহেতু আজ ৩০ জুন (অর্থবছরের শেষ দিন)। আজকে আমাদের একটা বড় ড্রাইভ থাকে। রেভেনিউগুলো যেগুলো পাইপলাইনে আছে সেগুলো ট্রেজারিতে নিয়ে আসার একটা ক্রমাগত চেষ্টা থাকে। সেই চেষ্টাটা চলছে।

তিনি আরও বলেন, এখন আমাদের রেভেনিউ রিপোর্টিংটা সিস্টেমেটিক, আমরা ম্যানুয়াল রিপোর্ট করিনা। আইবাসে আমরা আদায়ের রিপোর্ট করি। এখানে কোথাও কোন রিকনসেলিশনের প্রয়োজন নাই। এনবিআর একটা ফিগার, বাংলাদেশ ব্যাংক একটা ফিগার বলবে সেটা আর নাই। সবার সেইম ফিগার।  

‘গত বারের চেয়ে রাজস্ব আদায় বেশি হবে এটা নিশ্চিত। কিন্তু যেরকম আশা করছিলাম, একটু তো হোচট খেয়েছি এই কয়দিনের কাজ কর্মে। ব্যবসা বাণিজ্য বিঘ্নিত হয়েছে।  রাজস্ব আদায় হোচট খেয়েছে। আজকেও সময় আছে, আজকে তারা চেষ্টা করছে। ট্যাক্স অফিসারদের প্ল্যানের মধ্যে আছে কারা ট্যাক্স পেয়ার, কারা বছরের শেষে কর দিবে। এটা তারা জানে, আজ সব দপ্তর খোলা, ব্যাংক খোলা। আমার ধারণা আজকে ভাল পরিমান অর্থ জমা হবে। সরকারি বিলগুলো এডজাস্ট করলে গতবারের চেয়ে বেশি এটা নিশ্চিত। একটা নির্দিষ্ট অংশের গ্রোথ হবে। আমরা যে রকম আশা করেছিলাম হয়তো সেটার কাছাকাছি থাকবে। তারপরেও জুলাই মাসে আবার ড্রাইভ দিয়ে আমরা এটা ট্রেজারিতে নিয়ে আসবো। জুলাই মাসে আমাদের টাকা লাগবে। সরকারকে জুলাই মাসে খরচ করতে হবে। আমাদের কর্মতৎপরতা আগের মত চলবে।’

কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, যা কিছু হয়েছে সব কিছু ভুলে গিয়ে রাষ্ট্রীয় স্বার্থে, দেশের স্বার্থে আমরা সবাই কাজ করবো। যে কাজ গুলো আছে সেগুলো এগিয়ে নিয় যাব। আশা করি আমাদের আর এ ধরণের বড় ধরণের সমস্যার মধ্যে যেতে হবেনা।

তিনি বলেন, অতীতে রেভিনিউ অফিসাররা যেভাবে দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছেন, একইভাবে তারা কাজ করবেন।

এর আগে সোমবার মার্চ টু এনবিআর, কমপ্লিট শাটডাউনসহ টানা দেড় মাস ধরে চলা আন্দোলন ও কর্মসূচি প্রত্যাহার করে কাজে ফিরেছেন আন্দোলনরত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তারা।

অর্থ ও বাণিজ্য সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ